সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সোনালী ব্যাংকের খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ সংসদীয় কমিটির

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:৫০ পিএম, ২৮ নভেম্বর, ২০২২

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকে অনেক গ্রাহকের হদিস না পাওয়ায় খেলাপি ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। সেই সাথে ঋণের বিপরীতে অনেকের জামানত নেই। ব্যাংকটির বড় খেলাপিদের থেকে বার্ষিক আদায়ের হার এক শতাংশেরও কম।

 

সোমবার (২৮ নভেম্বর) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ২০তম বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

 

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটি সভাপতি মো. আব্দুস শহীদ। বৈঠকে অংশগ্রহন করেন কমিটি সদস্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী, এ বি তাজুল ইসলাম, বজলুল হক হারুন, আহসান আদেলুর রহমান, ওয়াসিকা আয়শা খান ও খাদিজাতুল আনোয়ার।

 

বৈঠক শেষে এসংক্রান্ত সাব কমিটির প্রধান ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, কমিটি তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পরবর্তী সময়ে  এটা নিয়ে আলোচনা করে সুপারিশ বাংলাদেশ ব্যাংককে জানানো হবে।

 

এদিকে, সাব-কমিটি তার প্রতিবেদনে ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ ও ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা সীমিতকরণসহ ১৪ দফা সুপারিশ করেছে।

 

এর আগে গত বছরের ৩ জানুয়ারি সোনালী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ন্যাশনাল ফিন্যান্স লিমিটেড, প্রিমিয়াম লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স লিমিটেডের খেলাপি ঋণের আর্থিক অনিয়ম যাচাই-বাছাইয়ে একটি সাব-কমিটি গঠন করা হয়।

 

কমিটির সদস্য ওয়াসিকা আয়শা খানকে আহ্বায়ক করে গঠিত কমিটিতে ছিলেন- আহসান আদেলুর রহমান ও খাজিদাতুল আনোয়ার। দীর্ঘ যাচাই করে কমিটি সোমবার অনুষ্ঠিত মূল কমিটির বৈঠকে এর প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

 

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, সোনালী ব্যাংকের ২০২০ সালের ডিসেম্বরে ৫ লাখ ৫০ হাজার খেলাপি ঋণ গ্রাহকের সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ ১৭ হাজার ৭৬২ কোটি টাকা। ডিসেম্বর ২০২১ এ খেলাপি ঋণ গ্রাহক কমে দাঁড়ায় ৩ লাখ ৭৬ হাজার। কিন্তু খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে হয় ১৮ হাজার ৭৮৬ কোটি। এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত খেলাপি ঋণ গ্রাহক কিছুটা বেড়ে হয় ৩ লাখ ৯৭ হাজার। আর খেলাপি ঋণ কিছুটা কমে হয় ১৮ হাজার ৭১২ কোটি। ২০২০ সালের (৬ দশমিক ২২ শতাংশ) তুলনায় ২০২১ সালে (৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ) খেলাপি ঋণ আদায় কিছুটা বেড়েছে।

 

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের (এসআইবিএল) ১০ কোটি তদূর্ধ্ব ২৭ জন ঋণ খেলাপির এক হাজার ৪৪ কোটি ৪০ টাকার টাকার বিপরীতে এ বছর এপ্রিল পর্যন্ত চার মাসে কোনো আদায় নেই। এটিকে অত্যন্ত হতাশাজনক ও দুর্বল ব্যাংক ব্যবস্থাপনার পরিচায়ক বলে উল্লেখ করা হয়।

 

ন্যাশনাল ফাইন্যান্স মোট ঋণের (৬৪৩ কোটি) ১৯ শতাংশ শ্রেণিকৃত। শ্রেণিকৃত ঋণের ১০ জন গ্রাহকের কাছে।

 

ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তানের এপ্রিল ২২ ব্যাংকের ঋণ ও অগ্রিমের পরিমাণ এক হাজার ৩৮৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১২০ জন খেলাপি ঋণ গ্রহীতার বিপরীতে শ্রেণিকৃত ঋণ এক হাজার ৩৬৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা। যা মোট ঋণের ৯৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এর মধ্যে ১০ কোটি তদূর্ধ্ব খেলাপি ৪৬জন এবং সংশ্লেষ অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৫৬ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

 

একুশে সংবাদ.কম/জন/জাহাঙ্গীর

জাতীয় বিভাগের আরো খবর