শনিবার (২৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সরাসরি সংযুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, টিউব দুটির মধ্যে চলাচলের ৩টি ক্রস প্যাসেজের কাজ শেষ হয়েছে। স্থাপিত হয়েছে, দুপাড়ে টোল প্লাজা। বসবে স্ক্যানার। পতেঙ্গা অংশে যানজট এড়াতেও নেয়া হয়েছে উদ্যোগ। ৩ দশমিক তিন-দুই কিলোমিটার দীর্ঘ এই নির্মাণে খরচ, প্রায় ১০ হাজার ৮শ` কোটি টাকা।
দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম এ টানেলটি আগামী জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে। টানেলটি চালু হলে চট্টগ্রাম মহানগর, চট্টগ্রাম বন্দর এবং পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত বিমানবন্দরের সঙ্গে একটি উন্নত ও সহজ যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠবে। এছাড়া পূর্বাঞ্চলের শিল্প কারখানা থেকে উৎপাদিত পণ্য ও কাঁচামাল চট্টগ্রাম বন্দর ও বিমানবন্দরে নিয়ে যেতে সময় ও খরচও কমে যাবে।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যৌথভাবে কর্ণফুলী টানেলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। এরপর ২০১৯ সালে প্রথম টানেল টিউবের বোরিং কাজ শুরু হয়, আর দ্বিতীয় টিউবের বোরিং কাজ শুরু হয় ২০২০ সালে।
টানেলটি চট্টগ্রামের পতেঙ্গার নেভাল অ্যাকাডেমি প্রান্ত থেকে শুরু করে চট্টগ্রাম ইউরিয়া ফার্টিলাইজার লিমিটেড এবং আনোয়ারায় কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার লিমিটেড কারখানার মধ্যে নদীর তলদেশে সংযোগ স্থাপন করছে। মূল টানেলের দৈর্ঘ্য ৩.৩২ কিলোমিটার এবং এতে দুটি টিউব রয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে দুটি করে লেন। মূল টানেলের পশ্চিম এবং পূর্ব দিকে একটি রয়েছে ৫ কিলোমিটারের সংযোগ সড়ক।
বিস্তারিত আসছে.....
একুশে সংবাদ/পলাশ