সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় প্রথম বাংলাদেশি মানবপাচারকারী

প্রকাশিত: ০৬:৩০ পিএম, ১১ নভেম্বর, ২০২০

ইন্টারপোলের লাল তালিকায় ৭০ জনের বেশি বাংলাদেশি অপরাধীর নাম আছে। তবে মিন্টু মিয়া হচ্ছেন প্রথম বাংলাদেশি, যার নাম মানবপাচারকারী হিসেবে ওই তালিকায় স্থান পেয়েছে। মিন্টু মিয়ার বিরুদ্ধে বিদেশে চাকরি পেতে আগ্রহীদের সঙ্গে প্রতারণা করা এবং অবৈধভাবে তাদের আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, এমনকি হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে তার নাম তালিকায় যোগ করে ইন্টারপোল। -ডয়চে ভেলে

মিন্টু মিয়াসহ ছয়জন মানবপাচারকারীর নাম ইন্টারপোলের লাল তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সৈয়দা জান্নাত আরা। তিনি বলেন, এই পাচারকারীরা বিদেশে চাকরি দেওয়ার নাম করে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে টাকা নেয়। এরপর লিবিয়ায় তাদের আটকে রেখে আরো অর্থের জন্য তাদের ওপর নির্যাতন চালায়। 

তিনি বলেন, ইন্টারপোলে তাদের বিস্তারিত তথ্য দেওয়ার কারণে তাদের চলাফেরা বাধাগ্রস্ত হবে, কারণ যে দেশেই তারা যাক না কেন, সেখানেই তাদের আটকের চেষ্টা করা হবে। 

লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলর আশরাফুল ইসলাম ইন্টারপোলে পাচারকারীদের নাম দেওয়ার বিষয়টির প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন, আশা করছি, এই উদ্যোগ মূল অপরাধীদের ধরতে সহায়তা করবে এবং পাচার হয়ে বাংলাদেশিদের এখানে আসা বন্ধ হবে। এ উদ্যোগ সফল হচ্ছে কি না, তা জানতে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।

গত মে মাসে লিবিয়ায় ২৪ জন বাংলাদেশিকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার পর মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে পুলিশ। জুন মাসে অন্তত ৫০ জন পাচারকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এটি মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে ‘সবচেয়ে বড় অভিযান’ বলে দাবি করছে পুলিশ। আটকদের মধ্যে একজন শীর্ষ পাচারকারী রয়েছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই পাচারকারী প্রায় ৪০০ বাংলাদেশিকে লিবিয়ায় পাঠিয়েছিল।

মানবপাচার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের চলতি বছরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাচার রুখতে বাংলাদেশ তৎপরতা বাড়িয়েছে। হাজার হাজার মামলা নিষ্পত্তি করতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে, যদিও অভিযুক্তের সংখ্যা এখনো কম।

একুশে সংবাদ/এআরএম

জাতীয় বিভাগের আরো খবর