সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদের জামিন দেননি হাইকোর্ট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ৫ জুলাই, ২০২২

 

করোনাভাইরাসের সনদ জালিয়াতির মামলায় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন দেয়নি হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেওয়া হয়।

 

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন । 

 

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাসের টেস্ট নিয়ে জালিয়াতির বিস্তর অভিযোগ ওঠার পর ২০২০ সালের ৬ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব। অভিযানে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট, করোনা চিকিৎসার নামে রোগীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়সহ নানা অনিয়ম উঠে আসে। ওই বছরের ৭ জুলাই রাতে উত্তরা পশ্চিম থানায় সাহেদসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

 

এ ঘটনার পর পালিয়ে যান সাহেদ। ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে হেলিকপ্টারে করে সাতক্ষীরা থেকে ঢাকায় আনা হয়।

 

করোনা পরীক্ষার নামে ভুয়া রিপোর্টসহ বিভিন্ন প্রতারণার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় সাহেদকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এরপর ২০২০ সালের ১৯ জুলাই তাকে নিয়ে উত্তরার বাসার সামনে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ।

 

সেখানে সাহেদের নিজস্ব সাদা প্রাইভেটকারে পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ১০ বোতল ফেনসিডিল, একটি পিস্তল এবং একটি গুলি উদ্ধার করা হয়। এরপর উত্তরা পশ্চিম থানায় অস্ত্র ও মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা করা হয়।

 

২০২০ সালের ৩০ জুলাই ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলায় চার্জশিট দাখিল করা হয়। এরপর ওই বছরের ২৭ আগস্ট তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

 

সাহেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে করা একটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই আইনের অপর ধারায় সাহেদকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। রায়ে আদালত বলেছেন, উভয় ধারা একসঙ্গে কার্যকর হবে।

 

করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার হোতা সাহেদের বিরুদ্ধে সারাদেশে অর্ধশত মামলা রয়েছে। এর বেশিরভাগই প্রতারণার অভিযোগে করা। সাহেদ কারাগারে আছেন।

 

একুশে সংবাদ.কম/ঢ.প.জা.হা

আইন আদালত বিভাগের আরো খবর