সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

কালীগঞ্জে ভোটের জটিল সমীকরণে তিন চেয়ারম্যান প্রার্থী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:০৫ পিএম, ৫ মে, ২০২৪

কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ধীরে ধীরে জটিল সমীকরণের দিকে এগুচ্ছে। এমনটাই জানিয়েছেন উপজেলা আ’লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা। 

গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা আ’লীগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পরে। এক পক্ষে বর্তমান স্বতন্ত্র সাংসদ আখতারউজ্জামান ও অপর পক্ষ সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের এম.পি মেহের আফরোজ চুমকি’র অনুসারীরা। এ নির্বাচনে এ্যাড.আশরাফী মেহেদী হাসান, হাবিবুর রহমান (হাবিব) ও আমজাদ হোসেন স্বপন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন। তিন প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা দুই এমপি’র নাম ভাঙ্গিয়ে ভোটারদের সমর্থন ও ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে।

সংসদ নির্বাচনের পরে অনুষ্ঠেয় এই ভোটে বড় প্রভাব থাকছে দুই সাংসদের। অন্যদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের স্বজনদের প্রার্থীদের পক্ষ-বিপক্ষে অবলম্বন করায় ভোটের হিসাব নিকাশ আরোও জটিল আকার ধারণ করেছে। 

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার ভোটারদের সাথ কথা বলে জানা যায়, তুমলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর মিয়া (বাক্কু) এ্যাড.আশরাফী মেহেদী হাসানের পক্ষে প্রচারণায় রয়েছেন। কিন্তু তার আপন ছোট ভাই ও স্বজনরা অপর প্রার্থী (আনারস) প্রতীকের হাবিবুর রহমান হাবিবের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় রয়েছে। এতে সাধারণ ভোটারদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। 

বক্তারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান আকন্দ ফারুক এবং অধিকাংশ ইউপি সদস্য,নাগরীর সাবেক চেয়ারম্যান এ্যাড. সিরাজ মোড়ল, মোক্তারপুরের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম তোরণ এবং জামালপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুবুর রহমান ফারুক মাষ্টার (তালা চাবি) প্রতীকের এ্যাড.আশরাফী মেহেদী হাসানের পক্ষে জোর প্রচারণায় রয়েছেন। 

নাগরীর চেয়ারম্যান অলিউল ইসলাম (অলি), মোক্তারপুরের চেয়ারম্যান এস এম আলমগীর হোসেন ও জাঙ্গালিয়ার ইউপি চেয়ারম্যান গাজী সারোয়ার হোসেন ও তাদের অনুসারীরা আনারস প্রতীকের হাবিবুর রহমান (হাবিব)’র পক্ষে মাঠে রয়েছেন।

অপরদিকে জামালপুর ও বাহাদুরশাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান খায়রুল আলম ও শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ মোটর সাইকেল প্রতীকের আমজাদ হোসেন স্বপনের সমর্থনে মাঠে নেমেছেন। এনির্বাচনে বিএনপি’র কোন প্রার্থী না থাকলেও বাহাদুরশাদী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপি’র সভাপতি জয়নাল আবেদীন দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে স্বপনের পক্ষ নেয়ায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে দলটি। ছাত্র জীবনে স্বপন জাতীয়তাবাদী ছাত্র দলের থানার সভাপতি ছিলেন। সে কারনে তিনি এ নির্বাচনে স্থানীয় বিএনপি নেতা-কর্মী ও সংগঠনটির মতাদর্শী সাধারণ ভোটারদের অনুকম্পা পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ইতোমধ্যে দলটির নেতা কর্মীরা ভোট বর্জনের ঘোষনা দিয়ে ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য জোর প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। ফলে তার সে আশায়ও যেন গুড়েবালি। 

উপজেলার সকল ইউপি চেয়ারম্যানরা আ’লীগের রাজনীতির সাথে জরিত থাকলেও উপজেলা নির্বাচনে আ’লীগের তিন প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয়ায় নির্বাচনটি জটিল সমীকরণের দিকে এগুচ্ছে বলে ধারনা করছেন ভোটাররা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক আ’লীগ নেতা জানান, স্বতন্ত্র এমপি থাকায় এ নির্বাচনে সৃষ্টি হয়েছে নানা জটিলতা।  আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, তারা চান সুষ্ঠ, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন চান। 

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর