সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

দোকান খুললেও ক্রেতা নেই!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০৮ পিএম, ৯ এপ্রিল, ২০২১

করোনায় সংক্রমণ ও মৃত‌্যুর হার বাড়তে থাকায় গত সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের লকডাউনের ঘোষণা দেয় সরকার। ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান, মার্কেট ও দোকান পাটও বন্ধের আওতায় ছিল। তবে, লকডাউনের সময়  ব‌্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দাবিতে আন্দোলনে নামেন দোকান মালিকরা। এরপর বৃহস্পতিবার (৮ এপ্রিল) কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে দোকানপাট  খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

পহেলা বৈশাখ ও রমজান-ঈদকে ঘিরে বাজারে আবার প্রাণ ফিরে আসবে বলে সংক্রমণের মধ্যেও প্রত্যাশা করছেন দোকান মালিকরা। তবে শপিংমল-দোকানপাটে তেমন ক্রেতা সমাগম নেই, দোকানদাররা বসে আছেন।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, মালিবাগের মৌচাক মার্কেট, ফরচুন শপিংমল, শান্তিনগরের টুইন টাওয়ার্স কনকর্ড শপিং, কর্ণফুলি গার্ডেন সিটি, পল্টনের চায়না টাউন, পলওয়েল সুপার মার্কেটসহ গুলিস্তানের মার্কেট ৯টা দিকে খুলেছে।

শপিংমলগুলোর প্রধান ফটকে কর্মীরা হ্যান্ড স্যানিটাইজার হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে; মাস্ক ছাড়া প্রবেশাধিকার নেই বলে মাইকে জানানো হচ্ছে।

ফুলবাড়িয়া মার্কেটের এক দোকানী বলেন, ‘আমরা পাইকারি বিক্রি করি। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লোক এসে মাল নিয়ে যায়। তবে লকডাউনের কারণে বিভিন্ন জেলার লোক আসছে না। তারা এই কয়েকদিনে ফোনে যেগুলো অর্ডার করেছে, সেগুলো কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানোর ব্যবস্থা করছি।’

গতকাল সরকার এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনসাপেক্ষে শুক্রবার থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ দিন দিন বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে ১১ এপ্রিল রাত ১২ পর্যন্ত সারা দেশে শপিংমল, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্তারাঁওসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পাশাপাশি গণপরিবহন চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল।


একুশে সংবাদ/র/আ

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর