আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে বেসরকারিভাবে আমদানির জন্য বরাদ্দ দেয়া সব চাল আনতে হবে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বরাদ্দপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে যেসকল আমদানিকারক এলসি খুলেছেন কিন্তু চাল বাজারজাত করতে পারেননি, তাদের এলসি করা সম্পূর্ণ চাল বাজারজাতকরণের জন্য আগামী ১৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব (বৈদেশিক সংগ্রহ) মুহাম্মদ মাহবুবুর রহমান এ বিষয়ে বলেন, চাল আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে এলসি খোলার কতদিনের মধ্যে চাল বাজারজাত করতে হবে তা বলে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন পরিমাণের জন্য এই সময়ও ভিন্ন। এখন চাল বাজারজাতকরণের শেষ সময় সবার জন্যই ১৫ মার্চ করে দেয়া হলো।
তিনি বলেন, ‘স্থলবন্দরগুলোতে ট্রাকের জটের কারণে চালের ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। সময় চলে গেলেও অনেক ট্রাক আটকে ছিল, তাই সময়টা বাড়ানো হয়েছে।’
খাদ্যশস্যের বাজারমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্নআয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখতে বেসরকারি পর্যায়ে চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ নির্ধারণ করে সরকার।
খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে গত ২৭ ডিসেম্বর বেসরকারিভাবে চাল আমদানির জন্য বৈধ আমদানিকারকদের প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্রসহ ১০ জানুয়ারির মধ্যে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করতে বলা হয়।
খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন শর্তে বেসরকারি পর্যায়ে সর্বমোট ৩২০ ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে ১০ লাখ ১৪ হাজার ৫০০ টন চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই অনুমতির চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
একুশে সংবাদ/ জ.ড /এস