সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কাউকে বিদেশ না পাঠিয়েই তাদের পকেটে ৩ কোটি টাকা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:১৬ পিএম, ৭ অক্টোবর, ২০২২

ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে অসংখ্য মানুষের কাছ থেকে ৩ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র। অনেক বছর ধরে তারা এই কর্মকাণ্ড চালাচ্ছিল।

 

সম্প্রতি এ চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান (৫০) ও তার প্রধান সহযোগী মাহমুদ করিমকে (৩৬) গ্রেফতারের কথা জানিয়েছে র‍্যাব-৩।

 

শুক্রবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

তারা প্রায় ২২ বছর থেকে এই কাজে জরিত। সংবাদ সম্মেলনে কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ভিকটিমদের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে র‍্যাব-৩ বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাজধানীর শান্তিনগর এলাকায় অভিযান চালায়।

 

অভিযানে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের মূলহোতা মাহবুব উল হাসান (৫০) ও মাহমুদ করিমকে (৩৬) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। তাদের কাছ থেকে ৫২১টি পাসপোর্ট, বিদেশে চাকরির জন্য তৈরি করা ভূয়া কোর্সের সনদ ৬৫টি, মেডিকেল সার্টিফিকেট ৩০০টিসহ অন্যান্য উপকরণ জব্দ করা হয়।

 

তিনি আরো জানান, গ্রেফতাররা বিভিন্ন অসহায় দরিদ্র লোকের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়া তারা বাংলাদেশে বিভিন্ন অঞ্চলে দালালের মাধ্যমে ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যেতে ইচ্ছুক লোকজনের পাসপোর্ট সংগ্রহ করে। এভাবে তারা গত দুই বছরে ৫২১টি পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে যারা মধ্যপ্রাচ্যে যেতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে দুই থেকে তিন লাখ এবং যারা ইউরোপে যেতে ইচ্ছুক তাদের কাছ থেকে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা করে জমা নেয়।

 

তিনি আরও বলেন, আসামি মাহবুব ২০০০ সাল থেকে সংঘবদ্ধ মানবপাচার ও প্রতারক চক্রের সদস্য। বিদেশে উচ্চ বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে প্রতারণার মাধ্যমে কিছু লোক পাঠায়। বিদেশে পৌঁছার পর বিদেশে অবস্থানরত এজেন্ট দিয়ে পুনরায় প্রতারণা করা হয়। তাদের কাজের নামে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে বন্দি করে রাখা হয়। সেখানে শারীরিক এবং মানসিক নির‍্যাতন করা হয়।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক জানান, আসামিদের ট্রাভেল এজেন্সি বা রিক্রুটিং এজেন্সি পরিচালনার কোনো লাইসেন্স নেই। স্বল্প সময়ে, বিনাশ্রমে অধিক লাভ বা অর্থ উপার্জনই তাদের একমাত্র লক্ষ্য।

 

গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

অপরাধ বিভাগের আরো খবর