আজ সোমবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার উপজেলার চরয়শোরদী ইউনিয়নের পৈলানপট্টি গ্রামে ওই কিশোরীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
এ আদালত পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম ইমাম রাজি।
আদালত সুত্রে জানা যায়, ভূয়া জন্ম সনদ বানিয়ে ১৪ বছরের কিশোরীর বয়স ১৮ দেখিয়ে এ বিয়ের আয়োজন করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালান আদালত।
আদালতের অভিযানের আগে বিয়ে পড়ানোর কাজ শেষ হয়। আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যান এ বিয়ের কাজিসহ বর ও কনের অভিভাবকগণ। তবে সবাই পালিয়ে গেলেও বিয়ের আসর থেকে পালাতে পারেনি বর। সে একই ইউনিয়নের ধর্মদী গ্রামের মৃত মোশাররফ হোসেনের ছেলে শামিম আহম্মেদ (২১)। তিনি ঢাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াশোনা করেন।
পরে আদালতে বর বাল্য বিবাহের অভিযোগ স্বীকার করায় বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ এর সাত ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে এক মাস ১৫ দিন বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়ে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও এস এম ইমাম রাজি বলেন, আদালত অভিযান করার খবর পেয়ে কাজী ও বর-কনের আত্মীয়রা পালিয়ে যান। পরে অভিযোগ স্বীকার করায় বরকে এ দন্ড প্রদান করা হয়।
ফরিদপুর শহরের একটি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক রাবেয়া বেগম বলেন, ইউএনওর আদালতে শাস্তির ফলে সমাজে বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে ভূমিকা রাখলেও এ বাল্য বিয়ের কোন প্রভাব পরবে না। তারা এখন বিবাহিত। দেড় মাস সাজা ভোগের পর তারা বিবাহিত জীবন যাপন করবে।
একুশে সংবাদ.কম/র.ক.জা.হা