সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাংবাদিকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:৪৯ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদায় পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজাকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) সকাল ১০ টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের সামনে এই কর্মসূচি পালন করেন জেলায় কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা।

দৈনিক জনতার ইস্তেহার পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি আতিয়ার রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. নুর নবী,কার্পাসডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম. এ জলিল,দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আউয়াল হোসেন,নাগরিক টিভির জেলা প্রতিনিধি হুসাইন মালিক,দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান ধীরু,মাই টিভির জেলা প্রতিনিধি একরামুল হক পিকুল,দৈনিক বাংলাদেশ কন্ঠের প্রতিনিধি তানজির ফয়সাল,দৈনিক সমকালের জেলা প্রতিনিধি খাইরুল ইসলাম,দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জীবননগর উপজেলা প্রতিনিধি মুকুল,দৈনিক আজকের বসুন্ধরা পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি এম.এ.আর নয়ন,দৈনিক এই আমার দেশ পত্রিকার প্রতিনিধি এইচ.এম হাকিম,দৈনিক সকালের সময়ের প্রতিনিধি আব্দুস সামাদ,দৈনিক পশ্চিম অঞ্চলের প্রতিনিধি মেহেদী হাসান,দৈনিক যায়যায়দিন এর জেলা প্রতিনিধি হাসমত আলী, দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার দর্শনা প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলমসহ জেলার অন্যান্য সাংবাদিক বৃন্দরা।

জানা যায়,দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর থেকে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরে রাজস্ব প্রকল্পের রবি মৌসুমের পেঁয়াজের বীজ ২৫০-৩০০ জনকে দেওয়ার কথা ছিলো। কিন্তু তা কতজনকে দেওয়া হয়েছে বিষয়টি জানার জন্য দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজা গত রবিবার দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের অফিসে যায়। অফিসে যাওয়ার পর কৃষি কর্মকর্তার নিকট উক্ত বিষয়ে তথ্য জানতে চাইলে তিনি তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন এবং অফিসের রুমের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অফিসে কর্মরত কর্মচারীদের একটা লাঠি আনতে বলেন এবং পিটিয়ে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। একই সাথে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। এরপর সাংবাদিক শামীম রেজার কাছে থাকা মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে রুমের ভেতর অবরুদ্ধ করে রাখে। পরবর্তীতে পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মো.সাজেদুর রহমান কৃষি কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি কিছু সময়ের মধ্যেই তাকে ছেড়ে দেন। এছাড়াও শামীম রেজার সাথে ঘটে যাওয়া দামুড়হুদা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের কথাপকথনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল সাংবাদিকরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

এ ঘটনায় সাংবাদিক শামীম রেজা বাদী হয়ে গত রবিবার দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছে।

 

 

 

একুশে সংবাদ/হা.নি/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর