সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কুমিল্লায় শসার বাম্পার ফলন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:১০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২

কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলায় ধান চাষের পর পতিত জমিতে শসা চাষ করা হয়েছে। । আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় শশার বাম্পার ফলন হয়েছে। শসা সাধারণত গরম কালে বেশি চাষ হয়ে থাকে। বেশ কয়েক জাতের শসা রয়েছে। বীজ রোপণের ৩০ থেকে ৩৫ দিনের মধ্যে গাছে ফল ধরা শুরু হয়। বিঘাপ্রতি খরচ হয় ১০ হাজার আর বিক্রি হয় ২০ হাজার টাকায়। লাভ বেশি হওয়ায় শসা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা।

 

উপজেলার বাতুপাড়া ও গোমকোট গ্রাম ঘুরে দেখা যায়, কেউ কেউ গাছ থেকে শসা সংগ্রহ করছেন। আবার কাউকে শসা বস্তায় ভরতে দেখা গেছে। ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী চাঁদপুর ও কুমিল্লাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা পাইকারদের কাছে শসা বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন অনেক কৃষক। দূর-দূরান্ত থেকে আসা পাইকারদের কাছে প্রতি মণ শসা ১ হাজার থেকে ১১০০ টাকা বিক্রি করছেন।

এ ব্যাপারে চাষি মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে ৩০ শতক জমিতে শসা চাষ করতে খরচ হয়েছে ৭০ হাজার টাকা। যা বিক্রি হবে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা। এবার আবহাওয়া ভালো রয়েছে। বাজারে শসার দামও ভালো পাওয়া যাচ্ছে।

গোমকোট গ্রামের দুদু মিয়া ও করিম মিয়া যৌথভাবে প্রায় দুই একর জমিতে শসা চাষ করেন।  তারা জানানা, এতে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়। প্রথম দিকে বৃষ্টি কম হওয়ায় বীজ বপন করলে চারা কম উঠে। আবার কিছু কিছু চারা গাছ মারা যায়। পরে আবার গাছ লাগাই। এখন একটু ভালো অবস্থায় রয়েছে। গত ১৫ দিন ধরে শসা বিক্রি শুরু করি। এভাবে আরো ৭-৮ বার শসা কাটলে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকার বেশি  বিক্রি হবে।

চাষি কামরুল হোসেন বলেন, ৬০ শতক জায়গায় শসা চাষ করেছেন তিনি। ফলনও অনেক ভালো হয়েছে। গতকাল পর্যন্ত শসা কাটি। যা খরচ হয়েছে তা উঠে এখন লাভে আছি।

এ বিষয়ে পৌর সদর ব্লক উপ-সহকারী কৃষি অফিসার জুনায়েদ হোসেন বলেন, পৌর সদরের বাতুপাড়া গ্রামটি শসা চাষের বিচরণ ভূমি। আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করি ভালো জাতের বীজ ব্যবহার করে সঠিক সময়ে শসা ফলানোর জন্য। সব সময় ক্ষেত পরিদর্শন করি। কখন কি ওষুধ ব্যবহার করা প্রয়োজন সে বিষয়ে পর্রামশ প্রদান করি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার জাহিদুল ইসলাম জানান, এ মৌসুমে পুরো উপজেলায় ৪৫ হেক্টর জমিতে শসার আবাদ করা হয়। আবহাওয়া ভালো থাকায় বাজারে শসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। ভালো দামও পাচ্ছেন তারা। আর কৃষি অফিস থেকে নিয়মিত তদারকি করা হচ্ছে। যাতে আরো অধিক লাভবান হতে পারে শসা চাষিরা।

একুশে সংবাদ/ বা/স.স/ রখ

 

 

 

কৃষি বিভাগের আরো খবর