সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অলিম্পিক্সসে জেতা সোনা ছুড়ে দিয়েছিলেন নদীতে!

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৮:০১ পিএম, ৩১ মে, ২০২৩

কুস্তিগীরদের প্রতিবাদ নাটকীয় পরিস্থিতিতে মোড় নেয় সোমবার। এই অপমান, এই অবিচার, এই যন্ত্রণা আর কিছুতেই সহ্য করতে পারছেন না আন্দোলনরত কুস্তিগীররা। হরিদ্বারের গঙ্গায় পদক বিসর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভিনেশ ফোগাট, সাক্ষী মালিক ও বজরং পুনিয়ারা।

 

যৌন হেনস্থায় অভিযুক্ত সর্বভারতীয় কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের গ্রেফতারের দাবিতে কুস্তিগিররা গত ২৩ এপ্রিল থেকে যন্তর মন্তরে লাগাতার ধর্না আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। সোমের সন্ধ্যায় কুস্তিগীররা চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে চলেছিলেন। তাঁরা দল বেঁধে চলে এসেছিলেন হরিদ্বারের হর কি পৌড়ি ঘাটে পদক বিসর্জন দিতে। কিন্তু গঙ্গার ঘাট থেকে তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যান কৃষক নেতা নরেশ টিকায়েতেরা। ভারতীয় স্পোর্টসে প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে পদক বিসর্জনের পথে হাঁটা এই প্রথম। কিন্তু বিদেশে এই নজির রয়েছে। সবার আগে বলতে হবে প্রয়াত কিংবদন্তি বক্সার মহম্মদ আলির কথা। যিনি বর্ণবিদ্বেষের প্রতিবাদে তাঁর অলিম্পিক্স স্বর্ণপদক ওহিয়ো নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন।

 

আমেরিকার কেন্টাকিতে অবস্থিত লুইসভিলের জন্ম নেওয়া মহম্মদ আলির আসল নাম ছিল ক্যাসিয়াস ক্লে। বাবা ক্যাসিয়াস মার্সেলাস ক্লে (সিনিয়র) ছিলেন একজন আফ্রিকান-আমেরিকান। রঙয়ের মিস্ত্রির কাজ করতেন তিনি। মাত্র ১২ বছর বয়সে বক্সিংয়ে হাতে খড়ি হয় ক্যাসিয়াসের। এর নেপথ্যেও রয়েছে এক গল্প। নিজের সাইকেল চোরকে শাস্তি দিতে চেয়েছিলেন ক্যাসিয়াস।


এক পুলিশ অফিসার যখন ক্যাসিয়াসের এই রাগের কথা জানেন, তিনিই তাঁকে বলেছিলেন, বক্সিং রিংয়ে গিয়ে রাগ উগরে দিতে। আর সেখান থেকেই শুরু ‍‍`দ্য গ্রেটেস্ট‍‍`-এর পথ চলা। ১৯৬০ সালে ক্যাসিয়াস রোম অলিম্পিক্সে লাইট হেভিওয়েট ক্যাটেগরিতে সোনার পদক পেয়েছিলেন। একদিন ক্যাসিয়াস এক রেস্তোরাঁয় ঢুকেছিলেন খেতে। কিন্তু তাঁকে খাবার পরিবেশন করা হয়নি, ক্যাসিয়াসকে জানানো হয় যে, এখানে শুধুই সাদা চামড়ার মানুষদের খাবার পরিবেশন করা হয়। বর্ণবিদ্বেষী এই কাজের প্রতিবাদেই ক্যাসিয়াস তাঁর স্বর্ণপদকটিই ছুড়ে দেন নদীতে। 

 

১৯৭৫ সালে ক্যাসিয়াস ইসলাম ধর্মগ্রহণ করেন। নাম হয় মহম্মদ আলি। যদিও পদক ছুড়ে দেওয়ার জন্য অলিম্পিক্স কমিটি মহম্মদকে কোনও শাস্তিত দেয়নি। ১৯৯৬ সালে অ্যাটলান্টা অলিম্পিক্সে মশাল জ্বালিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন মহম্মদ। সেই সময়ের অলিম্পিক্স কমিটির পক্ষ থেকে মহম্মদকে মূল পদকের প্রতিরূপ উপহার দেওয়া হয়েছিল।

 

একুশে সংবাদ.কম/সম   

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর