সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হাতিরঝিলের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে ফাস্টফুডের ময়লা-আবর্জনা

প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ৭ নভেম্বর, ২০২০

রাজধানীর দৃষ্টিনন্দন হাতিরঝিলের পরিবেশকে বিষিয়ে তুলছে লেকেরপাড়ে গড়ে তোলা ফাস্টফুডের দোকানগুলো। এতে ওই সব দোকানের ময়লা-আবর্জনা ঝিলের পানিতে পড়ে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। ফলে দর্শনার্থী ও পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে ঝিলের সৌন্দর্য উপভোগ করছেন।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গুলশান ১ সংলগ্ন ঘাট হয়ে লেকপাড় রাস্তার দুই ধারে ফাস্টফুডের দোকান। বিকেল থেকে রাত অবধি জমজমাট বেচাকেনা চলে এসব দোকানে। দর্শনার্থী- পথচারীদের পদচারণায় মুখর থাকে পুরো এলাকা। হাতিরঝিলের পানির ওপরে ফুটপাত ঘিরে গড়ে ওঠা এসব ফাস্টফুডসহ নানা খাবারের দোকানের খাবার খান আগতরা। খাওয়া শেষে উচ্ছিষ্টসহ যাবতীয় ময়লা ফেলা হয় পানিতে। ফলে প্রতিনিয়ত দূষিত হচ্ছে হাতিরঝিলের পানি।

এ দূষিত পানির ওপর দিয়ে প্রতিদিন চলাচল করেছে ওয়াটার ট্যাক্সি। এ থেকে সৃষ্ট ঢেউয়ের কারণে আশপাশে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ায় নাকাল দর্শনার্থী-পথচারীরা। এ ছাড়া পানিতে সব সময় পচা ময়লা-আবর্জনা ভাসতে দেখা গেছে।

ওয়াটার ট্যাক্সিতে চড়ে এফডিসি ঘাট থেকে ঘাটে এসেছেন বেসরকারি চাকরিজীবী বার্নাড স্যামুয়েল। ঝিলের পানির দুর্গন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াতকারীদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়। এ ছাড়া পানিতে বিভিন্ন ধরনের ময়লা ভাসতে দেখা যায়। দুর্গন্ধের কারণে ওয়াটার ট্যাক্সিতে যাতায়াতে আগ্রহ হারাচ্ছেন অনেকে।

হাতিরঝিলের পানিতে ময়লা-আবর্জনা ফেলার বিষয়ে ঘাট এলাকায় ফাস্টফুড দোকানি জামিল আহমেদ বলেন, আমরা এখানে ময়লা ফেলি না। তবে মাঝে মাঝে কিছু আবর্জনা জমা করে রাখা হয়। ফলে কিছু ময়লা পানির পাশে পড়ে বা কুকুর টেনে-হিঁচড়ে পানির দিকে নিয়ে যায়। যে কারণে পানির পাশে ময়লা দেখা যাচ্ছে।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জামাল আক্তার বলেন, ময়লা পানিতে ফেলার অভিযোগের প্রেক্ষিতে দোকানিদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তারা ময়লা-আবর্জনা ফেলা তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একুশে সংবাদ/জা/এআরএম

বিশেষ প্রতিবেদন বিভাগের আরো খবর