সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

অতিমারীতে অতি চিন্তা গুলো

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৩ পিএম, ১৩ জুলাই, ২০২১

মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্কের বদল হয়ে গেছে ।সময়ের পরিবর্তনের প্রভাব ফেলেছে জনজীবনের মানসিকতায় । আমি ব্যতিক্রম নই ,কারণ কিছু না কিছু ভাবে আমিও অন্যদেরই একজন । ছোটবেলা থেকে আমি একটু অন্যটাইপ ছিলাম - যখন আব্বা বলতো " তুই এমন কেন মা রে "? আমি শুধু আব্বার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতাম ।

কেন আমি আসলে অন্য কেমন , সবার মতো আমিও খেলি পড়া পড়ি না , স্কুল ফাঁকি দেই , এর মধ্যে আমি অন্যরকম হোলাম কোথা থেকে ! হয়ত অন্য হয়ত আলাদা হয়ত বেখাপ্পা - আমিও ধারণ করেছি মনে মনে আমি কিচ্ছু নই , কিচ্ছু হয় না আমার দ্বারা । যেটাকে আসলে যুতসই বলে। মানুষের মতো আমারও বোধের সীমাবদ্ধতা সীমাহীনতার ধ্বনি - প্রতিধ্বনি , বারবার ধরা দেয় অন্তর মাঝে ।

কত যে প্রশ্ন করি নিজেকে ভেঙ্গে - এই যে জীবন নিয়ে , একটা আস্ত জীবন নিয়ে! কি করে মানুষ ? মানুষের জীবনে শীতল সম্পকর্গুলো কি আর উষ্ণ সম্পর্ক গুলোই বা কি ? পাটি গণিত কষা নারী, আর ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া নারীদের মাঝে কে আসলে পরিপূরক । সারাদিন আমার মাথার মধ্যে সেমিনার চলে , প্রশ্ন উত্তর ধাঁধাঁ ! এলোপাতারী ভাবতে ভাবতে এতগুলো বছর কাটালাম জীবন থেকে। অনেক কাছ থেকে, অনেক কিছু বদলে যাওয়া দেখেছি , মানুষের করুন মুখ আঁকতে আঁকতে , বিভৎষ মুখের সন্ধ্যান ও মিলেছে ঢের! প্রেমের পেছনে ছুটতে গিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছে মন ।

আর আমি ঠিক একটা পথেই চলেছি হিসাবহীন । রোজ যে সব মুখ দেখতে পাই, জীবনে ও মননে সব কিছুর ছবি ধরতে চাই তুলির রেখায় ! কেন করি ? রোজ যে নামাজ পড়ে , তার দেহ ভঙ্গির ঠিক একই রকম , ঠিক তেমনি রোজ যে পূজা করে তার ফুল ও ফল উপকরণ ও মন্ত্রাদির ক্রম তো একই পুনরাবৃত্তি ! তবুও পূজক ও উপাসক নিত্য তা করে যায় । এই আশায় যে একদিন হয়ত সে তার আরাধ্য দেবতাকে সামনে এসে পূজো গ্রহণ করতে দেখবে । তেমনি হয়ত আমিও সাধারণ কাজ গুলোর মাঝে এই যে সময়ে অসময়ে দিস্তা দিস্তা খাতা লিখে ভরে ফেলি , নি:শ্চই একদিন আমার এই লেখা গুলো প্রাণ পাবে ! যাকে স্মরণ করে আমার লেখা তিনি প্রসন্ন হবেন ! সেদিন লেখা আর স্বপ্ন হবে একাকার ।

এই নিরবধি চিন্তাই হয়ত সাধনা ! একটা কবিতা লিখে আমি যা তৃপ্তি পাই একটা কাকরী কাবাব বানিয়ে ঠিক তেমনটাই পাই । আমার সন্তানের মুখ ছুঁলেই যে আবেগ আসে , একজন সাধুর গানেও আমি ঠিক ততখানি ভাসি গহীণে। আমার জীবনের অবরুদ্ধ অভিমান গুলো , সবসময় শান্তি পেতে চেয়েছে লেখার আশ্রয়ে। যারা আমার শৈশবের ভাঙ্গবেড়া কুঁড়ে ঘর হাঁকড়ে আছে , আমি তাদের স্বজন দূর বিদেশে , তাদের মুখের মলিন দীপ্তিই আমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ।

অন্ত:সার হীন পৃথিবীতে তারা আমার আপন , তারা সৎ ভান হীণ । আমার স্কুলের শেষ ক্লাসের কথা মনে পরে না । সেই সুর হারিয়ে গেছে .. নামতার কোরাস ,,,এক এক এ এক । এই যে জীবনটা যা নিয়ে যুদ্ধ করছি , বাঁচা মরার মাঝখানে স্বপ্নে জাগরণে , যদি শেষ সমাধানে জয়ী হই,তবে এই জীবনটাকে একটা অন্য মাত্রা দেবো ভেবেছি রাতভর। পাখি হয়ে যাবো মানবতার গান শিখবো ।

যার উছিলায় আমি বেঁচে গেলাম এই দেহ মনটা তার তরে নিবেদন করি । এভাবেই মানুষ মরে বাঁচে , ভাঙ্গে গড়ে , একটা মানুষ একটা লাশ হয় । কারো বিশ্বাস কারো বা মুখ থুবরে থাকা অবিশ্বাসে! সবার সুস্থতা কামনা করছি। কোভিড মুক্ত হোক পৃথিবী। আবার শান্ত হোক মানুষের মন গুলো।

মতামত বিভাগের আরো খবর