সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

হাজি সেলিম ও ইরফানের সম্পদের খোঁজে দুদক

প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর, ২০২০

নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের ঘটনায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিমকে গ্রেপ্তারের পর এবার প্রভাবশালী এই পরিবারের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বুধবার দুদক প্রধান কার্যালয়ে কমিশনার (অনুসন্ধান) মো. মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিকদের বলেন, সংসদ সদস্য হাজি সেলিম ও তার ছেলে ইরফান সেলিমের অবৈধ সম্পদের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করা হচ্ছে। এসব দুদক আইনে তফসিলভুক্ত হলে সংস্থাটি তা অনুসন্ধান করবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এই অনুসন্ধান কীভাবে করা হবে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘অবৈধ সম্পদের বিষয়গুলো যদি দুদকের শিডিউলের সঙ্গে সম্পর্কিত হয় এবং শিডিউলভুক্ত অপরাধের শামিল হয় তাহলে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখব। পরবর্তী সময়ে দুদক আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

গত রবিবার রাতে হাজি সেলিমের ‘সংসদ সদস্য’ লেখা সরকারি গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধর করা হয়। রাজধানীর কলাবাগান সিগন্যালের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

ওই ঘটনায় রবিবার রাতে জিডি হলেও সোমবার ভোরে ইরফান সেলিম, তার দেহরক্ষী মো. জাহিদ, এ বি সিদ্দিক দিপু এবং গাড়িচালক মিজানুর রহমানসহ অজ্ঞাত ২-৩ জনকে আসামি করে ওয়াসিফ আহমদ খান বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় একটি মামলা করেন।

এই মামলায় সোমবার দুপুরে ইরফানকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। বাসায় বিদেশি মদ ও অনুমোদনহীন ওয়াকিটকি রাখায় কাউন্সিলর ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদকে এক বছর করে জেল দেন র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। রাতেই তাদের কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ইরফান সেলিম ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। মঙ্গলবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।

নৌবাহিনীর কর্মকর্তার দায়ের করা মামলায় বুধবার ইরফান সেলিম ও তার বডিগার্ড মোহাম্মদ জাহিদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

একুশে সংবাদ/ঢা/এআরএম

জাতীয় বিভাগের আরো খবর