সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শীতে ত্বকের যত্নে যা করবেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১২:৪৯ পিএম, ৫ ডিসেম্বর, ২০২২

শীতের সময় ত্বক সংবেদনশীল থাকে। তাই বিভিন্ন রোগ জীবানুও হানা দেয়। শীতের শুরুতেই যদি প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণ করা যায় তাহলে ত্বকের এসব রোগ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। 

 

শীতে ত্বকের যে যে সমস্যা বা পরিবর্তন দেখা দেয়ঃ

শীতে যেহেতু পরিবেশে আর্দ্রতা ও জলীয় বাষ্পের পরিমাণ কমে যায়, এ কারণে প্রধান সমস্যাই হচ্ছে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে যাওয়া। ফলে চুলকানি, ঠোঁট ও পায়ের চামড়া ফেটে যাওয়া, হাতের চামড়া উঠে যাওয়াসহ খুশকির সমস্যা বাড়ে। যাদের ডায়াবেটিস, লিভার ও কিডনির সমস্যা বা জন্মগত চামড়ার কিছু রোগ থাকে তাদের এ ড্রাইনেসের তীব্রতা বেশি হয়।

 

ত্বকের এই শুষ্কভাব দূর করার উপায়ঃ

মেডিকেল গ্রেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করাই হচ্ছে প্রধান চিকিৎসা। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ক্রিম বা অয়েল বেসড ময়েশ্চারাইজার দেবেন, যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা লোশন বেসড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এটি ব্যবহার করার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ত্বক যেন তার আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। ময়েশ্চারাইজার যে ত্বক তৈলাক্ত করে, তা কিন্তু নয়। শীতে খুব বেশি গরম পানি ব্যবহার না করে কুসুম গরম পানিতে স্বল্প সময়ের জন্য গোসল করা যেতে পারে। প্রতিদিন গোসল না করলেও চলে, একদিন পরপর করা যায়। কারণ এ সময় আমরা ফুল হাতা জামা-কাপড় ব্যবহার করি তাই ত্বকে খুব বেশি ময়লা, ধুলাবালি পড়ে না। 

প্রতিদিন খারযুক্ত সাবান ব্যবহার না করে সপ্তাহে ২-৩ দিন সুগন্ধিহীন ও বর্ণহীন সাবান, সিনথেটিক ডিটারজেন্ট বা বাথজেল ব্যবহার করতে পারেন। খুব বেশি ঘষা-মাজা করে ত্বক পরিষ্কার করলে ত্বকের তৈলাক্ত বা ন্যাচারাল ময়েশ্চার উঠে গিয়ে ত্বক শুষ্ক হয় ও ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস শরীরে প্রবেশের সুযোগ পায়।

 

এ সময় ত্বকের যে যে রোগ হওয়ার যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছেঃ

 খোস-পাঁচড়া শীতে আমাদের দেশে প্রধান সমস্যা। একসঙ্গে বেশি মানুষ জড়ো হয়ে থাকলে যেমন মাদ্রাসা, হলে অবস্থানকারীদের একজন থেকে আরেকজনে এ রোগ দ্রুত ছড়ায়। কারণ এটি সংক্রামক বা ছোঁয়াচে। হাতের আঙুলের ভাঁজে, নাভির চারপাশে, শরীরের ভাঁজযুক্ত স্থানে, মহিলাদের ব্রেস্টের নিচে এবং প্রজনন অঙ্গের আশপাশের গোটাযুক্ত বিচি বা ফোসকা, যাতে রাতে চুলকানি বাড়ে এবং তা দিয়ে খোস-পাঁচড়া শনাক্ত করা যায়। 

চিকিৎসার প্রধান শর্ত হচ্ছে যাদের এ সমস্যা হয়েছে তাদের ও তার সঙ্গে থাকা সবার চিকিৎসা নিতে হবে।

 

শিশুর ত্বকের যত্নঃ

কিছু শিশু জন্মগতভাবে শুষ্ক ত্বক নিয়ে জন্মায়। এরা ঘন ঘন ঠান্ডা লাগা, হাঁচি, সর্দি, শ্বাসকষ্টে ভুগে। শিশুর ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তবে সরিষার তেল ব্যবহার করবেন না। এর ফলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সুতির কাপড় ব্যবহার করবে, সিনথেটিক বা পশমী সোয়েটার, মাফলার, টুপি ব্যবহার করলে এদের অ্যালার্জির প্রকোপ আরও বেড়ে যায়। 
শীতের শাক-সবজি, ফলমূল প্রচুর গ্রহণ করতে হবে কারণ এতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন থাকে যা এন্টি এজিং ও ত্বকের বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। কম্বলের পরিবর্তে লেপ ব্যবহার করবে।

 

 শীতে সূর্যের রশ্মি আমাদের ত্বকে সরাসরি পরে। তাই সানস্ক্রিন এসপিএফ ৩০-৫০ এর মধ্যে ব্যবহার করে বের হবেন। অনেকে ঠান্ডা থেকে বাঁচতে আগুনে বা রোদে ত্বক পোড়ান। এর ফলে সান বার্ন বা সান ইনজুরি হতে পারে।

 

একুশে সংবাদ.কম/যু/বাইজীদ_সা’দ

লাইফস্টাইল বিভাগের আরো খবর