সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ওর টি২০ বিশ্বকাপ জেতা উচিত,কার কথা বললেন যুবরাজ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:০৬ পিএম, ৮ মে, ২০২৪

২০২৪ টি২০ বিশ্বকাপের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে যোগ দিয়েছেন ভারতের সাবেক তারকা যুবরাজ সিং। কখনই জীবনে কঠিন প্রতিপক্ষকেও ভয় করতেন না। তিনি ক্রিকেট ছাড়ার পর থেকে আর আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য নেই ভারতের। অবশ্য শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি২০ বিশ্বকাপে হারের পর তাকে নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল।

সেবার ভারত জিততে পারলে, দ্বিতীয়বার ছোট ওভারের ফরম্যাটে চ্যাম্পিয়ন হতে পারত। এরপর থেকে মেন ইন ব্লুজরা আইসিসির প্রতিযোগিতায় ট্রফির কাছাকাছি পৌঁছালেও আসল উদ্দেশ্য পূরণে ব্যর্থই হচ্ছে। কোনও ভাবেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে মাঠ ছাড়তে পারছে না তারা। চোকার্স সাউথ আফ্রিকার মতোই বারবার আইসিসি প্রতিযোগিতায় সেমিফাইনাল, ফাইনালে গিয়ে হারছেন বিরাটরা। কয়েক বছর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষেও হারতে হয়েছিল, যদিও ভারতের জোড়া বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক কিন্তু বলছেন এবার টিম ইন্ডিয়া যথেষ্ট শক্তিশালী। রোহিত শর্মার হাতে বিশ্বকাপ জয়ের ট্রফি দেখতে চান যুবরাজ সিং।  

আগামী মাসের ৫ তারিখ টি২০ বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করছে ভারত। রোহিত শর্মার নেতৃত্বে কাপ জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নামবে টিম ইন্ডিয়া। এক সময় এই রোহিতের নেতৃত্বেই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে খেলেছিলেন যুবি। সেটাই ছিল আইপিএলে তার শেষ বছর, কাছ থেকে দেখেছেন নাগপুরের এই ক্রিকেটাররা।  

যুবি বলছেন, ‘রোহিত শর্মা যতই সাফল্য পান না কেন, কখনই মানুষ হিসেবে বদলে যাননি, এটাই ওর সব থেকে ভালো দিক‍‍`। অবশ্য ভারত অধিনায়ককে নিজের ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে খারাপ ইংরেজি বলা নিয়ে মজা করেছেন যুবি, বলেছেন,‍‍`রোহিত খুব খারাপ ইংরেজি বলত, সেই জন্য ওকে আমরা রাগাতাম। কিন্তু মানুষ হিসেবে খুব ভালো’।  

আইসিসিকে এক সাক্ষাৎকারে অধিনায়ক হিসেবে রোহিতকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে যুবরাজ সিং বলছেন, ‘রোহিতের দলে থাকাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ দিক। আমার মনে হয় একজন ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক খুব দরকার, যে কঠিন পরিস্থিতিতে চাপ সামলাতে পারবেন। ওর মধ্যে সেই ব্যাপারটা আছে। বিশ্বকাপ ফাইনালে দলকে তুলেছিল, আইপিএল জিতেছে পাঁচবার। তাই অধিনায়ক হিসেবে ভারতের রোহিতকেই দরকার। আমি মন থেকে চাই ও যেন বিশ্বকাপের ট্রফি জিততে পারে, একই সঙ্গে ওই মেডেলটা যেন ওর গলায় ওঠে‍‍`।

উল্লেখ্য কদিন আগেই রোহিত শর্মা নিজের অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে যুবরাজ সিংকে নিয়ে বলেছিলেন, যখন ২০০৭ তিনি জাতীয় দলের সুযোগ পান তখন যুবির সিটে বসে পড়েছিলেন বাসে। এরপর তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জাতীয় দলের অন্দরে বেশ একটা দাদা দাদা ব্যাপার ছিল তখন যুবির। দুই ক্রিকেটারের অবশ্য ব্য়ক্তিগত সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো, তাই মজা করেই একে অপরের বিভিন্ন খুনসুটির দিকগুলো তুলে ধরেন দুজনে।

একুশে সংবাদ/এস কে    

খেলাধুলা বিভাগের আরো খবর