খুব পরিচিত ও ছোট্ট একটি শব্দ হলো সম্পর্ক।নানারকম সম্পর্কের বন্ধনেই আমরা আবদ্ধ।কিছু সম্পর্ক জন্মের সাথে সাথেই পেয়ে যাই, কিছু আবার চলার পথে তৈরি হয়।তবে এই সম্পর্কের ক্ষেত্রে খুবই গরুত্বপূর্ণ শব্দ হচ্ছে যত্ন। অনেক সময় ভালোবাসার অভাব না থাকলেও যত্নের অভাবে সম্পর্ক ভেঙে যায় বা মলিন হতে শুরু করে।এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো মেনে চললে সম্পর্ক ভালো থাকে।চলুন জেনে নেয়া যাক সেই কথা গুলো।
সঙ্গীর প্রশংসা
মন খুলে তার প্রশংসা করুন। সে তো আমারই, তাই আর আলাদা করে প্রশংসা করতে হবে না- এমনটা ভাববেন না যেন! তিনি আপনার সুখ ও দুঃখের সঙ্গী। তাই তার ভালো কাজের প্রশংসা করতে কিপটামো করবেন না যেন।
রসিকতার প্রশংসা
সঙ্গীর কোনো রসিকতায় আপনার হাসি না পেলেও সেটা প্রকাশ করবেন না। বরং তার রসিকতায় সমর্থন জানিয়ে হাসাই ভালো।
উপহার পেলে খুশি হওয়া
সঙ্গী বা সঙ্গিনী কোনও উপহার দিলে, সেটা পছন্দ না হলেও তার প্রশংসা করুন। কারণ তিনি উপহারটি আপনার কথা ভেবে, আপনাকে মনে রেখেই এনেছেন। এভাবে কলহ এড়ানো যায়!
রান্নার প্রশংসা
সঙ্গীর রান্না পছন্দ না হলেও তার প্রশংসা করুন। এক্ষেত্রে সত্যিটা বললে যিনি কষ্ট করে রান্না করেছেন তার খারাপ লাগবে। তাই তার মন রাখার জন্য এই নির্দোষ মিথ্যা বলাই যায়। এতে তিনি খুশি হয়ে আপনার জন্য আরও ভালো কিছু তৈরির চেষ্টা করবেন হয়তো।
দেখতে দারুণ লাগছে
একে অন্যের প্রশংসা সম্পর্কের ভিত শক্ত রাখে। তাই সঙ্গী কিছু পরলে, সেটা তাকে না মানালেও বলতে যাবেন না। বরং তার প্রশংসা করুন। তবে একেবারেই যদি বেমানান লাগে, তখন তাকে কৌশলে অন্য কোনো পোশাক পরার পরামর্শ দিতে পারেন।
পরিবারের প্রশংসা
সঙ্গীর পরিবারের কাউকে অপছন্দ হলেও তা বলবেন না। কিন্তু তিনি যদি ঘরোয়া কোনো অনুষ্ঠানে যেতে চান, সেক্ষেত্রে ফিরে এসে তার পরিবারের সদস্যদের নিন্দা না করাই ঠিক হবে না।
ঠিক বলেছো
কখনো কখনো সঙ্গীর সব কথা সঠিক হয় না। কিন্তু পরিস্থিতি বুঝে তা এড়িয়ে গিয়ে উল্টোটা বলাই বুদ্ধিমানের কাজ! তবে এটি করবেন মাঝে মাঝে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য। সব সময় এমনটা করলে কিন্তু আপনার ব্যক্তিত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
একুশে সংবাদ/তাশা