সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ইউক্রেনকে দেওয়া যুদ্ধবিমান গুলো ‘পুরাতন অপ্রয়োজনীয়’: রাশিয়া

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:২৬ পিএম, ১৭ মার্চ, ২০২৩

বিশ্বের বৃহত্তম সামরিক জোট ন্যাটোর দুই সদস্য দেশ পোল্যান্ড এবং স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়ার ঘোষণা দেওয়ায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রো পেসকোভ বলেছেন, ইউক্রেনকে যেসব যুদ্ধবিমান দেওয়া হবে তার সবগুলো লক্ষ্য করে হামলা চালানো হবে।

 

তিনি আরও বলেন, সোভিয়েত আমলের যেসব মিগ-২৯ যুদ্ধবিমান দেওয়া হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে এ দেশগুলো পুরাতন অপ্রয়োজনীয় সরঞ্জাম বিলিয়ে দেওয়ার কাজে নেমেছে।

 

তিনি আরও বলেছেন, ‘যুদ্ধবিমান আমাদের বিশেষ সামরিক অভিযানে কোনো প্রভাব ফেলবে না। এটি ইউক্রেন এবং ইউক্রেনীয়দের জন্য শুধুমাত্র আরও দুর্ভোগ বয়ে আনবে। বিশেষ সামরিক অভিযান চলার সময়, এসব সরঞ্জাম আমাদের হামলার লক্ষ্যবস্তুতে থাকবে।’

 

এদিকে ইউক্রেন গত দুই মাস ধরে অব্যাহতভাবে যুদ্ধবিমান চাইছে। এরই অংশ হিসেবে পোল্যান্ড ও স্লোভাকিয়া বিমান দিতে সম্মত হয়েছে।

 

আরও পড়ুন- ইউক্রেনকে যুদ্ধবিমান দেয়ার ঘোষণা স্লোভাকিয়ার

 

তবে সামরিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সোভিয়েত আমলের এ যুদ্ধবিমান যুদ্ধক্ষেত্রে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না। রুশদের প্রতিহতে ইউক্রেনের আসলে দরকার যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ এর মতো বিমান।

 

যদিও যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, তারা এখনই কিয়েভকে অত্যাধুনিক চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান দেবে না। কারণ এগুলোর ওপর আগে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

 

তবে ইউক্রেনের সব পাইলটই সোভিয়েত আমলের মিগ, মিগ-২৯ এসব বিমান চালানোর জন্য প্রশিক্ষিত।

 

রাশিয়া হামলা করার আগে ইউক্রেনের কাছে ১২০টি সচল যুদ্ধবিমান ছিল। যেগুলোর বেশিরভাগই ছিল মিগ-২৯ এবং এসইউ-২৭। বর্তমানে দেশটিতে যুদ্ধবিমানের চেয়ে পাইলটের সংখ্যা বেশি।

 

এছাড়া স্লোভাকিয়া ইউক্রেনকে যেসব বিমান দেওয়ার কথা বলছে সেগুলো গত বছর থেকেই ‘অকেজো’ অবস্থায় পড়ে আছে। মূলত রাশিয়ানরা এগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করত। কিন্তু তারা চলে গেলে বিমানগুলো ক্ষুদ্র যন্ত্রাংশ ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়।

 

এদিকে বৃহস্পতিবার প্রথম দেশ হিসেবে পোল্যান্ড কিয়েভকে ৪টি বিমান এবং শুক্রবার দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্লোভাকিয়া ১৭টি বিমান দেবে বলে জানিয়েছে।

 

একুশে সংবাদ.কম/ঢ.প.প্র/জাহাঙ্গীর

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর