সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নিখোঁজ সাবমেরিনের কেউ বেঁচে নেই বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৩৪ এএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২১

বালি দ্বীপের কাছে নিখোঁজ ইন্দোনেশীয় সাবমেরিনের এখনও কোনও খোঁজ নেই। অথচ হাতের সময় একেবারে ফুরিয়ে এসেছে। শিগগিরই এর সন্ধান না মিললে সাগরের বুকেই ৫৩ নাবিকের সমাধি হয়েছে ধরে নিতে হবে। অবশ্য সাবমেরিনটি যদি এরই মধ্যে পানির চাপে বিধ্বস্ত হয়ে থাকে, তাহলে সেই আশাটুকুও থাকছে না।

শনিবার (২৪ এপ্রিল) বিবিসিকে জন কিরবি জানান, সাগরের যে অংশে সাবমেরিনটি ডুবেছে বলে ধারণা করা হয়েছিল, সেখানে তেল ভাসতে দেখা গেছে। তেলের ট্যাংকে ছিদ্রের ফলেই সেটি আর এগোতে পারেনি এবং আরোহীদের সবার সলিল সমাধি ঘটেছে।

সাগরের বুকে সাবমেরিন খুঁজতে ইন্দোনেশিয়া সাহায্য চায় সিঙ্গাপুর ও অস্ট্রেলিয়ার। এতে যোগ দেয় ভারত-মালয়েশিয়াও। সবশেষ এই উদ্ধার অভিযানে যোগ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের পি-৮ পসেইডন উড়োজাহাজ।

এর আগে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, সোনার ট্র্যাকিং পরীক্ষায় দেখা গেছে, সাগরের যে অংশে কেআরআই নাঙ্গালা ৪০২ ডুবেছে, সেটি গভীরতা ১৬৫ থেকে ৩৩০ ফুট। শুক্রবার ইন্দোনেশিয়া সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র জানান, সাবমেরিনটিতে যে কয়েকঘণ্টার অক্সিজেন অবশিষ্ট ছিল— সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেছে।

ইন্দোনেশিয়ার বালি দ্বীপের উপকূলের নিকটবর্তী সমুদ্রে মহড়া দেওয়ার সময় বুধবার সকালে হঠাৎ করেই নিখোঁজ হয়ে যায় দেশটির নৌবাহিনীর সাবমেরিন কেআরআই নাঙ্গালা ৪০২। সে সময় সাবমেরিনটিতে ৫৩ জন আরোহী ছিলেন।

দেশটির নৌবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ইয়ুদো মার্গোনো বলেছেন, সাগরের ৫০ থেকে ১০০ মিটার গভীরতায় ‘উচ্চ চুম্বকীয় শক্তি’ সম্পন্ন একটি বস্তু ‘ভাসতে’ দেখা গেছে। তাছাড়া সাবমেরিনটিকে সবশেষ দেখতে পাওয়া জায়গায় তেল ভাসতে দেখা গেছে।

ইন্দোনেশীয় নৌবাহিনীর মুখপাত্র জুলিয়াস উইজ্জজোনো জানান, ডিজেল-ইলেক্ট্রিক শক্তিতে চালিত সাবমেরিনটি ৫০০ মিটার ( ১ হাজার ৬৪০ ফুট) গভীরতায় টিকে থাকতে পারে, তবে এর নিচে চলে গেলে ফলাফল ভয়ঙ্কর হবে। ভয়ের বিষয় হচ্ছে, বালি সাগরের গভীরতা কিছু কিছু জায়গায় দেড় হাজার মিটারেরও বেশি।

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর