যুক্তরাষ্ট্রের অপরাধ তদন্ত সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ডেমোক্রেটিক ভোটারদের হুমকি দিয়ে ইমেইল পাঠানোর জন্য দায়ী ইরান।
দেশটির জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক জন র্যাটক্লিফ বলেন, ওই ইমেইলগুলো একটি ডানপন্থী ট্রাম্পসমর্থক গোষ্ঠী পাঠিয়েছে অশান্তিতে উস্কানি দিতে।
তিনি আরও বলেন, ইরান ও রাশিয়ার কাছে ‘ভোটার নিবন্ধনের কিছু তথ্য’ রয়েছে বলে তাকে জানিয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাজ্যের নির্বাচনের আগে আগে এমন তথ্য নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং বিদেশী অভিনেতাদের ভুল তথ্য প্রচারণা বিষয়ে সরকারের নতুন উদ্বেগের কারণ।
র্যাটক্লিফ বলেন, ভোটারদের ভয় দেখানো, বিশৃঙ্খলা তৈরি ও ক্ষতিগ্রস্থ করতেই প্রাউড বয়েজ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এসব ইমেইল পাঠায় ইরান।
তিনি যোগ করেন, নিবন্ধিত ভোটারদের কাছে মিথ্যা তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য ভোটাদের তথ্য ব্যবহার করা হতে পারে- এই আশায় যে তারা বিভ্রান্তি তৈরি করবে এবং আমেরিকান গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা হ্রাস করবে।
‘‘একই ধরনের কোনো আচরণ রাশিয়ার কাছে মেলেনি কিন্তু তাদের কাছেও একই তথ্য আছে বলে আমরা সতর্ক।’’
রাষ্ট্রীয় আইনসভায় জাতীয় সম্মেলন অনুযায়ী কারা ভোটার তথ্যের জন্য অনুরোধ করতে পারবে, কোন তথ্য পাওয়া যাবে এবং কীভাবে এই তথ্য ব্যবহার করা যেতে পারে সে সম্পর্কে প্রতিটি রাজ্যের আলাদা আলাদা চাওয়া থাকলেও অনেক রাজ্যে অনুরোধের ভিত্তিতে ভোটারের তথ্য পাওয়া যায়।
মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করার পদক্ষেপগুলোকে ‘মরিয়া শত্রুদের হতাশ প্রচেষ্টা’ অভিহিত করে র্যাটক্লিফ বলেন, আপনি যদি আপনার ইনবক্সে কোনও ভয় দেখানোর বা হস্তক্ষেপমূলক ইমেইল পান তাহলে আতঙ্কিত হবেন না এবং তা ছড়িয়ে দেবেন না।
ভোটারদের তথ্য কীভাবে নেওয়া হয়েছে বা রাশিয়ানরা এই তথ্য দিয়ে কী করছে সে বিষয়ে কোনো বিশদ বিবরণ কর্মকর্তারা দেননি।
এফবিআইয়ের পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বলেন, মার্কিন নির্বাচন ব্যবস্থা এখনও সুরক্ষিত এবং স্থিতিস্থাপক রয়েছে।
আগামী ৩ নভেম্বর দেশের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে যুক্তরাষ্ট্রে। তবে অগ্রিম ভোট শুরু হয়ে গেছে সেখানে। এরই মধ্যে ট্রাম্প ও ডেমোক্রেটিক প্রার্থী ডো বিডেনের প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই নির্বাচনে ৪ কোটি ভোটার নিজেদের অগ্রিম ভোট দিয়ে দিয়েছে।
একুশে সংবাদ/আই/এআরএম