বঙ্গোপসাগরের ঘুর্ণিঝড় সিত্রাং এর কারণে গত সপ্তাহে প্রচুর বৃষ্টি আর শীতল বাতাসের পরশ যেন শীতকে সাদর সম্ভাষণ জানিয়েছে। এরই পরিপেক্ষিতে গ্রামাঞ্চলের কড়া শীত থেকে রক্ষা পেতে মানুষ ইতোমধ্যে ভিড় জমাচ্ছেন লেপ-তোষেকের দোকানে।
নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বাজারে ২৫-৩০ টি লেপ তোষকের দোকান রয়েছে। তাছাড়া উপজেলার চিরাং বাজার,রোয়াইল বাড়ি বাজার,পাইকুড়া বাজার,সাহিতপুর বাজার,রামপুর বাজার, নওপাড়া বাজার এবং বৈখেরহাটি বাজারে লেপ-তোশকের দোকান রয়েছে। শীতের আগমনী বার্তায় লেপ-তোষক ব্যবসায়ী ও ধুনকাররা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।
জানা গেছে, সমগ্র উপজেলায় প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টির মত লেপ তোষক তৈরির দোকান রয়েছে। এসব দোকানে প্রায় কর্মসংস্থান হয়েছে কয়েক শত মানুষের।
উপজেলায় ঘুরে দেখা গেছে, লেপ-তোষক তৈরির ধুনকর ও ব্যবসায়ীদের দম ফেলার সময় নেই। কাজের চাপ এতই বেশি যে, সময়মত গোসল-খাওয়ারও ঠিক নেই। তবে এত ব্যস্থতা থাকলেও মৌসুমে একটু বাড়তি তাদের মুখে হাসি এনে দিয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা সদরের গাওছে হাওলা বেডিং স্টোরের ধুনকার নজরুল ইসলাম বলেন, বছরের এই সময়ে আমাদের ইনকাম অন্য সময়ের চেয়ে ডাবলেরও বেশি। তারপর সার বছর তো প্রায় বসেই কাটতে হবে। এখন প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ১০ টি করে লেপ ও তোষক তৈরির অর্ডার পাচ্ছি।
তবে মৌসুমে প্রকৃত দামের চেয়ে অনেক বেশি দাম রাখা হচ্ছে দাবি করে লেপ কিনতে আসা সুমন নামে এক ক্রেতা জানান, প্রচুর কাজ থাকলে দাম কম হওয়ার কথা। কিন্তু মৌসুমকে সুযোগ হিসেবে কাজে লাগিয়ে ব্যবসায়ীরা অনৈতিকভাবে অতিরিক্ত অর্থ দাবি করছে।
ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষকের অতিরিক্ত দাম নিচ্ছেন এ অভিযোগের পরিপেক্ষিতে ব্যবসায়ীরা বলেন, এটা সত্যি যে, গত বছরের চেয়ে ২৫০ টাকা থেকে ৩০০ টাকা বেশি মূল্যে লেপ বিক্রয় হচ্ছে। তুলার দাম বেড়ে যাওয়া এমনটা হয়েছে। তা ছাড়া ধুনাকরদের মজুরির খরচও বেড়েছে। এ ছাড়া আমাদের আর কোন উপায় নাই।
কেন্দুয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান ভূঞা বলেন শীতের আগমনে কেন্দুয়ার ধুনকররা লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।খাওয়া দাওয়ার সময় পর্যন্ত পায় না। শীত চলে গেলে তারা আবার অলস সময় পার করেন।এটি মুলত সিজনাল ব্যবসা।
একুশে সংবাদ/আ.গো.প্রতি/পলাশ