শিরোনাম দেখে অবাক হচ্ছেন? অবশ্য অবাক হওয়ারই কথা। কারণ মাটির নিচে মানুষের সৃষ্টি করা এক জগৎ! এটা আবার কেমন কথা? কথা যেমনই হোক- বিষয়টি কিন্তু খুব স্বাভাবিক। মাটির নিচের এই জগৎ সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আবু রায়হান মিকাঈল-
আমি কলকাতার বেশ কয়েকটি স্থান ঘুরে এলাম। স্মৃতিতে গেঁথে রাখা সেখানকার কিছু কথা বলব আজ। রিমঝিম বৃষ্টির দুপুর। কলকাতার বোটানিক্যাল ও নন্দন ঘুরে পাতাল রেলের সন্ধান করতে লাগলাম। অবশ্য কিছুক্ষণের মধ্যেই জানতে পারলাম, আমি যেখানে দাঁড়িয়ে আছি তার পাশেই পাতাল রেলের স্টেশন! তারপর গেলাম স্টেশনের প্রবেশ পথে।
সিঁড়ি দিয়ে মাটির নিচে নামতে শুরু করলাম। কিছুক্ষণ যেতেই পেয়ে গেলাম স্টেশন। স্টেশনে পৌঁছেই অবাক হলাম! কারণ গভীর মাটির নিচে স্টেশনটি দেখে মনে হয়েছে, যেন আরেকটি জগতে চলে এলাম। এজন্য এমন অবাক হওয়াটা খুব অস্বাভাবিক নয়।
সেখানকার টিকিট কাউন্টারে শত শত মানুষের ভিড়। লোকে লোকারণ্য স্টেশনের প্লাটফর্ম দেখে বোঝার উপায় নেই যে, মাটির উপরে আছি নাকি নিচে! মাটির উপরের রেল স্টেশনগুলোতে যেমন ভিড় দেখেছি, মাটির নিচেরও ঠিক তেমনটি দেখলাম।
লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটলাম। সেখানে টিকিটের দাম এতই কম যে, অবাক হওয়ার মতো। তারপর ট্রেনের জন্য প্লাটফর্মে গিয়ে অপেক্ষা করতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই চলে এলো ট্রেন। বেশ তাড়াহুড়া করে ট্রেনে উঠতে হলো।
পাতাল রেলের দারুণ একটি বৈশিষ্ট্য দেখলাম। প্রতি স্টেশনে ট্রেনটি ১৫-২০ সেকেন্ডের মতো থামছে। এরমধ্যে অনেকে নামছে আবার উঠছে। দেখে মনে হলো- পাতাল রেলের যাত্রীরা বেশ ফার্স্ট। আর ট্রেনের গতি ছিল বুলেটের মতো।
বেশ কয়েকদিন ছিলাম কলকাতা শহরে। যার মধ্যে পাতাল রেলে ভ্রমণ করা ছিল অনেক আনন্দের। তবে কলকাতার রাজপথের ট্রামে চড়ার মজাও কিন্তু কম নয়।