সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

করোনায় মারা গেলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৫৩ এএম, ১২ ডিসেম্বর, ২০২০

দক্ষিণ কোরিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা কিম কি-দুক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে  মারা গেছেন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে জানা গেছে, শুক্রবার লাটভিয়ার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬০ বছর।

লাটভিয়ার ডকুমেন্টারি নির্মাতা ভিটালি মানস্কির বরাত দিয়ে হাসপাতালে কিমের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে দ্য গার্ডিয়ান।

১৯৬০ সালের ২০ ডিসেম্বর দক্ষিণ কোরিয়ার বোংঘোয়ায় কিম কি-দুকের জন্ম। নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি পাড়ি জমান প্যারিসে। সেখানে ফাইন আর্টসে লেখাপড়া করেন। 

চিত্রনাট্যকার হিসেবে কেরিয়ার শুরু করা কিম তার ২৩ বছরের কর্মজীবনে দর্শককে উপহার দিয়েছেন একাধিক আন্তর্জাতিক মানের ছবি। 

১৯৯৬ সালে প্রথম পরিচালনা ‘ক্রোকোডাইল’ থেকেই সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। তার পর ‘দ্য আইল’, ‘স্প্রিং, সামার, ফল, উইন্টার... .. অ্যান্ড স্প্রিং’, ‘সামারিটান গার্ল’, ‘পিয়েতা’, ‘ওয়ান অন ওয়ান’... .. প্রতিটি ছবি কালজয়ী। 

রাজনীতি, সমাজ, নারী-পুরুষের সম্পর্ক সবই তার ছবিতে ভীষণ খোলামেলা। 

১৯৯৫ সালে কোরিয়ান ফিল্ম কাউন্সিলের পুরস্কার পান কিম কি-দুক। 

২০০০ সালে তার ‘দ্য আইল’ সিনেমাটি টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে সমালোচকদের নজর কাড়ে। একই বছর মস্কো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয় ‘রিয়েল ফিকশন’।

২০০৪ সালে সামারিটান গার্ল সিনেমার জন্য বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এবং একই বছর থ্রি আয়রন সিনেমার জন্য ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা পরিচালকের পুরস্কার পান কিম।

মাঝে কিছুদিন বাজে সময়ের মুখোমুখি হতে হয় এই পরিচালকে। প্রায় দুই বছর তিনি সিনেমা বানাতে পারছিলেন না। পরে সেই সময়ের নিজেকে নিয়েই বানিয়ে ফেলেন ডকুমেন্টারি আরিরাং। ২০১১ সালে আরিরাং কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিশেষ পুরস্কার পায়।

২০১২ সালে প্রথম দক্ষিণ কোরীয় সিনেমা হিসেবে কিমের পিয়েতা ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে গোল্ডেন লায়ন পুরস্কার জিতে নেয়। 

২০১৭ সালে এক অভিনেত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠলে কিম কি-দুককে আর দক্ষিণ কোরিয়ায় প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। পরের বছর তার বিরুদ্ধে ওই মামলা বাতিল হয়ে যায়।


একুশে সংবাদ /শু/এস
 

বিনোদন বিভাগের আরো খবর