সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উচ্চশিক্ষায় নর্থ আমেরিকার জন্য যেভাবে সিভি সাজাবেন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৫২ পিএম, ৮ মে, ২০২৩

সম্প্রতি দেশে উচ্চশিক্ষায় বিদেশ যাত্রার হার বিগত সময়ের তুলনায় বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষকরে স্নাতক শেষ করা শিক্ষার্থীদের মধ্যে উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে অন্য কোনো দেশে যাওয়ার প্রবণতা খুব বেশি। তবে সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে স্বপ্ন বাস্তবায়ন অনেকাংশে কম। বিদেশে উচ্চশিক্ষায় যেমন সঠিক দিকনির্দেশনা জরুরী, তেমনি একটি ভালো মানের সিভি হতে পারে শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন স্বপের দোয়ার।

 

কোনো ফেলোশিপে অংশগ্রহণ কিংবা উচ্চশিক্ষায় স্কলারশিপের জন্যও এখন সিভি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ব্যক্তিগত পরিচয়, অর্জন, যোগ্যতার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয় সিভিতে। কিন্তু অধিকাংশ শিক্ষার্থীই জানে না সিভিতে কী থাকবে আর কী থাকবে না? নর্থ আমেরিকার প্রেক্ষাপটে উচ্চশিক্ষায় যেভাবে সিভি সাজানো দরকার সে বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন উচ্চশিক্ষায় বিদেশগামী শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথি হিসেবে সেবা দেওয়া ‘Scholarship School BD’র প্রতিষ্ঠাতা মো. নাজমুল হাসান তপু, যিনি বর্তমানে কানাডার সুনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় ‘ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলম্বিয়া’-তে পিএইচডি গবেষক হিসেবে আছেন৷

 

১. ছবি, জন্ম তারিখ, বয়স, বৈবাহিক অবস্থা-নর্থ আমেরিকার প্রেক্ষাপটে এসব নিতান্তই ব্যক্তিগত তথ্য হিসেবে ধরা হয়। একাডেমিক সিভিতে এসব তথ্য একদম দেওয়ার দরকার নেই৷

 

২. নর্থ আমেরিকার প্রেক্ষাপটে আপনি ছেলে না মেয়ে তা তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুতরাং, সিভিতে জেন্ডার উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই।

 

৩. মাস্টার্স/পিএইচডিতে আবেদনের ক্ষেত্রে, সিভিতে SSC/HSC-র কোনো ইনফরমেশন দেওয়ার দরকার নেই। তাই শিক্ষাগত যোগ্যতার ক্ষেত্রে শুধু ব্যাচেলর আর মাস্টার্স ডিগ্রির ইনফরমেশন দেওয়াই উত্তম।

 

৪. হোম ডিস্ট্রিক/পার্মানেন্ট এড্রেস এগুলা একান্তই ব্যক্তিগত তথ্য। নর্থ আমেরিকার প্রেক্ষাপটে এগুলা সিভিতে একেবারেই অপ্রয়োজনীয়। শুধু আপনার বর্তমান ঠিকানা দিবেন যেন ভার্সিটি থেকে আপনাকে অফার লেটার পাঠালে তা পান। আপনার ফোন নাম্বার দেবেন, যাতে প্রয়োজন হলে কল করতে পারে।

 

৫. অবশ্যই ইমেল এড্রেস দিতে হবে। সেক্ষেত্রে rj.rocky@gmail.com কিংবা chocolategirl@gmail.com টাইপের ইমেইল এড্রেস মোটেও শোভনীয় নয়। নিজের নাম বা নিজের নামের ইনিশিয়াল দিয়ে ছোট-খাট দেখতে একটা ইমেল এড্রেস ব্যবহার করা শ্রেয়। কাঙ্খিত ইমেল এড্রেস অনেক সময় পাওয়া যায়না, সেক্ষেত্রে অনেকে শেষে সংখ্যা ব্যবহার করেন, যেমন - azhimel45@। এরকম হলে ঠিক আছে। অনেকে আবার নিজের নামের কাঙ্খিত আইডি না পেয়ে নিজের পুরো নাম দিয়ে লম্বা ইমেইল বানায় যেমন- mirazimulhossain.showkot@gmail.com। এমন ইমেইল আইডি দেখে প্রফেসর বিরক্তবোধ করতে পারেন। ইমেইল আইডির মাধ্যমে ব্যক্তিত্ব ফুটে উঠে সেটা মাথায় রাখতে হবে।

 

৬. ফ্রেশ গ্রাজুয়েট যারা, তাদের উচিত দুই পৃষ্ঠার বেশি সিভি না লেখা। তবে যারা অলরেডি পিএইচডি করেছেন এবং নর্থ আমেরিকায় পোস্ট ডক/ একাডেমিক জবের জন্য এপ্লাই করছেন তাদের সিভি একটু লম্বা হতেই পারে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর