সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাঁঝ সাঁঝ কলরবে স্কুল,উচ্ছাসিত শির্ক্ষাথীরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১০:৫১ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

বিদঘুটে ঘনঘাটার আধার ঠেলে যেনো রবি শষি জানান দিচ্ছে আজকের সকালটা করোনাকালীন এ দীর্ঘ অন্য সময়ের সকালগুলোর মত নয়। যে দৃশ্যটি দীর্ঘদিন দেখা যায়নি, তা আজ আবার দেখা মিলেছে।শির্ক্ষাথীর মনে প্রান ফিরে আসছে আজকের দিনে আনন্দের ধারা আজ যে বহু প্রতিক্ষার পর স্কুল খুলল বলে।

শরতের স্নিগ্ধ সকালে কাঁধে স্কুলব্যাগ নিয়ে শিশুদের ছোটাছুটির এমন দৃশ্য পথচারী কারোর দৃষ্টি এড়ায়নি। নিজের চেনা-পরিচিত প্রাণের পাঠশালায় দীর্ঘদিন পরে ফিরেছে শিক্ষার্থীরা। এ যেন পরম আনন্দের দিন তাদের কাছে। মুখের উচ্ছ্বাস দেখেই তা আঁচ করা যায়।

আজ  (১২ সেস্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টা থেকে হাজী রহমতুল্লাহ ফোরকানিয় উচ্চ বিদ্যালয়ে,যাএবাড়ী আইডিয়াল হাই স্কুল,দোলাইপার আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়,গরু হাট  সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মা মোরিয়াল মডেল একাডেমী ও ডেমরা মডেল স্কুল হলি ফ্লায়ার মডেল স্কুল ঘুরে  দেখা যায় আনন্দ আর উচ্ছ্বাসের সঙ্গে স্কুলে প্রবেশ করছে শিশুরা। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে দিচ্ছেন কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করতে হবে এবং শ্রেণি কক্ষে বসবে।স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলতে হবে।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি প্রসঙ্গে হলি ফ্লায়ার মডেল একাডেমী শিক্ষক মাকসুদা জানায়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাসে ফেরাতে সবধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে শিক্ষার্থীদের আসনে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হয়েছে।

অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে এতিনি বলেন, কোনো শিক্ষার্থীর ঘরে কারও করোনা উপসর্গ বা সংক্রমিত কেউ থাকলে শিক্ষার্থীকে স্কুলে না পাঠানোর জন্য বলা হয়েছে। এছাড়া সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে অভিভাবকদের ঝুম মিটিংয়ে মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।

স্কুলে ফেরার বিষয়ে কথা হয়  শিক্ষার্থী বাকারিয়া ওয়ালিয়া অঝরা  সঙ্গে। নিজের অনুভূতি বলতে গিয়ে আত্নহারা উচ্ছাস প্রকাশ করে জানায়,অনেকদিন পর পর স্কুল খুলেছে কি যে আনন্দ লাগছে বলে বুঝাতে পারবনা ফেরাটা অনেক আনন্দের। এর আগে টানা এতদিন কখনও এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। বন্ধুদের ফিরে পাব। শিক্ষদের ফিরে পাব এ অনুভূতি ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়।

সাঝ সাঝ কলরবে সুসজ্জিত হয়েছ অনেক স্কুলের শ্রেনীকক্ষ এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডেমরা মডেল স্কুলের প্রধান শিক্ষক জানায়, করোনাকালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গেছে। ঝোঁপঝাড়ে ছেয়ে গেছে শ্রেণিকক্ষ। সেগুলো পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কের শিক্ষার্থীদের উপযোগী করতেই সাজসজ্জা তৈরী কেরেছন এছাড়া অনেক স্কুলে শির্ক্ষাথীদের বরন করতে ক্লাস পার্টি অনুষ্ঠানের অয়ােজন করতে দেখা গেছে । 

উল্লখ্য ,গত বছরের ৮ মার্চ দেশে করোনা সংক্রমণ দেখা দেয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ পর্যন্ত গত ১৭ মাসে দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি বাড়ানো হয়। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান সাধারণ ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে এ মাসে আজকের দিনে স্বাস্থ্যবিধী মেনে স্কুল খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্কুল খুলে দেয়া হয়।


একুশে সংবাদ/মু

শিক্ষা বিভাগের আরো খবর