সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

আরও ১ মাস বাড়ানো হয়েছে আয়কর রিটার্নের সময়

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৫৯ পিএম, ৩০ নভেম্বর, ২০২২

আরও ১ মাস বাড়ানো হয়েছে আয়কর রিটার্ন দেয়ার সময়। নতুন সময় অনুযায়ী আগামী  ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত রিটার্ন জমা দিতে পারবেন করদাতারা।

 

বুধবার (৩০ নভেম্বর) জাতীয় আয়কর দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক সেমিনারে এ কথা জানালেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা।

 

‘সবাই মিলে দেব কর, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে এনবিআর জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদযাপন করছে। দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য: ‘যথাযথ কর প্রদানের মাধ্যমে করদাতাদের রাষ্ট্রের উন্নয়নে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’।

 

এদিকে মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা আরও এক মাস বাড়াতে অনুরোধ জানিয়ে এনবিআর’কে চিঠি দিয়েছিল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। এদিন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত একটি চিঠি এনবিআর-এর চেয়ারম্যান বরাবর পাঠানো হয়।

 

চিঠিতে বলা হয়, কোভিড-১৯-এর দীর্ঘমেয়াদি নেতিবাচক প্রভাব ও চলমান বিশ্ব অর্থনৈতিক সংকটময় পরিস্থিতিতে বর্তমানে শিল্প উৎপাদন, ব্যবসা-বাণিজ্য ও সেবাখাত বিরাট চ্যালেঞ্জের মধ্যদিয়ে চলছে। আর্থিক খাতে বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে সময়মতো রিটার্ন দাখিল করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হচ্ছে না বিধায় এক মাস সময় বাড়ানো একান্ত প্রয়োজন বলে এফবিসিসিআই মনে করে।

 

এমন অবস্থায় সর্বোচ্চ সংখ্যক করদাতার স্বার্থে আয়কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর জন্য এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

 

২০০৮ সাল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর আয়কর দিবস হিসেবে উদযাপিত হতো। এরপর ২০১৬ সাল থেকে ৩০ নভেম্বর আয়কর দিবস পালন করছে এনবিআর।

 

বর্তমানে দেশে ৮২ লাখের বেশি টিআইএনধারী রয়েছেন। এর মধ্যে ২৬ লাখের মতো টিআইএনধারী নিয়মিত আয়কর রিটার্ন দেন বলে জানা গেছে। এবারও করদাতাদের প্রত্যাশা পূরণে এক ছাদের নিচে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়নি। তবে দেশের ৩১টি কর অফিসে গত ১ নভেম্বর থেকে মেলার পরিবেশে করদাতাদের সেবা দেয়া হচ্ছে।

 

সাধারণত কোনো ব্যক্তি-করদাতার আয় যদি বছরে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, নারী ও ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সের করদাতার আয় যদি বছরে সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি হয়, গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা করদাতার আয় যদি বছরে চার লাখ ৭৫ হাজার টাকার বেশি হয় এবং প্রতিবন্ধী করদাতার আয় সাড়ে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি হলে তার রিটার্ন দাখিল করা বাধ্যতামূলক।

 

এছাড়া আরও অনেক কারণে ব্যক্তিকে আবশ্যিকভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হয়। চলতি অর্থবছর থেকে শুধু রিটার্ন দাখিল করলেই হবে না, বিভিন্ন সরকারি সেবা পেতে হলে রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্রও দেখাতে হবে।

 

একুশে সংবাদ.কম/সট/জাহাঙ্গীর

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর