সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ব্রেক্সিট পরবর্তী বাণিজ্য বাড়াতে জি টু জি বৈঠক জানুয়ারিতে

প্রকাশিত: ০৪:৫৮ পিএম, ৩ ডিসেম্বর, ২০২০

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশে সাথে বৃটেনের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বৃটেন বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি বাজার। উভয় দেশের বাণিজ্য বৃদ্ধি করার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। বৃটেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন থেকে আলাদা ব্রেক্সিট হওয়ার পর নতুন বাণিজ্য নীতিতে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেয়া হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগে বৃটেনের আগ্রহে বাংলাদেশ উৎসাহবোধ করছে। নতুন উদ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সঠিক পথে পরিচালনার জন্য উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনা জরুরি। আগামী জানুয়ারি মাসেই উভয় দেশের মধ্যে (জি টু জি) বাণিজ্য বৈঠকের আয়োজন করা হবে। 

বাণিজ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় সরকারি বাসভবনে বৃটেনের রাষ্ট্রদূত রবার্ট চ্যাটার্টন ডিকসন এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বৃটেনের অনেক বিনিয়োগ বাংলাদেশে রয়েছে। আরো বিনিয়োগ ও বাণিজ্যকে বাংলাদেশ স্বাগত জানাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারতসহ বেশ কিছু দেশ সেখানে বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীগণ এখানে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে অনেক সুযোগ-সুবিধার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশ-বৃটেন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করবে।


বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী ২০২৪ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে। এ সময় বৃটেন বাংলাদেশকে বাণিজ্য ক্ষেত্রে চলমান সুযোগ-সুবিধাগুলো প্রদান অব্যাহত রাখবে বলে আশা করছি। বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ এবং এফটিএ করে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য বাংলাদেশ প্রচেষ্টা শুরু করেছে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে বৃটেন সহযোগিতা করছে সেজন্য বাংলাদেশ কৃতজ্ঞ। বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী বৃটেনে পড়া লেখা করেন। অনেকেই ইচ্ছা থাকার পরও আর্থিক কারনে সেখানে যেতে পারেন না। বৃটেন বাংলাদেশে একটি বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুললে বাংলাদেশের আরো অনেক শিক্ষার্থী পড়ালেখা করার সুযোগ পাবে।

বৃটেনের রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রেক্সিট পররর্তী বাণিজ্য ও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বৃটেন বাংলাদেশকে গুরুত্ব দিচ্ছে। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৈঠক করে এ বিষয়ে বিস্তারিত কার্যক্রম গ্রহণ করা সম্ভব। বাংলাদেশ সরকারের সাথে বৃটিশ সরকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। বাংলাদেশের সাথে বৃটেনের চলমান বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত থাকবে এবং আগামীতে তা আরো বাড়ানোর প্রচেষ্টা থাকবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর