সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ৭ সিদ্ধান্ত মন্ত্রণালয়ের

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৪:২৭ পিএম, ৭ মে, ২০২৪

সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যপণ্যের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন-আয়ের মানুষ প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয় করতে হিমশিম খাচ্ছে।দ্রব্যমূল্যের দাম কমাতে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিলেও আলোর মুখ দেখেনি কোনোটিই। বিশ্ববাজারে কিছু দ্রব্যের দাম অনেকাংশে কমলেও তার প্রভাব পড়েনি দেশের বাজারে। এবার নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে ৭ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

গত ৩০ মার্চ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ৭ দফা সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। গৃহীত এসব সিদ্ধান্ত-সংক্রান্ত একটি চিঠি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ (এনবিআর) বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে।

বাজার সহনীয় রাখার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দফায় দফায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করছে। ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইও কয়েক দফা বৈঠক করেছে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। কিন্তু কোনো কিছুতেই যেন নিয়ন্ত্রণ আসছে নিত্যপণ্যের দাম।  

গত মাসের শেষের দিকে আবারও ব্যবসায়ী, বিভিন্ন স্টকহোল্ডারের সঙ্গে বৈঠক করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সেই বৈঠকে দেশের শীর্ষ গ্রুপ ও আমদানিকারকেরা নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরেন। মেঘনা গ্রুপ, সিটি গ্রুপের মতো বড় কোম্পানির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার সীমা বাড়ানো ও শুল্ককর কমানো ও মেয়াদ বাড়ানোর সুপারিশসহ আরও বেশ কিছু পরামর্শ দেন।

বাণিজ্যসচিবের চিঠিতে উল্লেখ রয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের এলসি বা ঋণপত্র খোলার ক্ষেত্রে সিঙ্গেল বরোয়ার এক্সপোজার লিমিট বাড়ানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে। আর খাদ্যপণ্যের শুল্ককাঠামো পর্যালোচনা করে কমানোর ক্ষেত্রে এনবিআরকে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে সয়াবিন, পাম অয়েলসহ অন্য ভোজ্যতেলের শুল্ককাঠামো যৌক্তিক করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও এনবিআরের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

এছাড়া খাদ্য মন্ত্রণালয়ের চালের জাতভিত্তিক নামে দাম নির্ধারণ, ভোজ্যতেলের রেয়াতি শুল্কহার বাড়িয়ে ৩০ জুন পর্যন্ত করা, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কৃষিপণ্যের যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণের বিদ্যমান ফর্মুলার প্রয়োজনীয় সংস্কার করা এবং ভারত থেকে টিসিবির মাধ্যমে আমদানি করা পেঁয়াজ ৪০ টাকা কেজি দরে প্রাথমিকভাবে ঢাকা, গাজীপুর এবং চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় খোলা বাজারে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।  

বাজার বিশ্লেষকরা মনে করছেন, শুধু ব্যবসায়ীদের কথার ওপর বাজার ছেড়ে দিলে জিনিসপত্রের দাম কখনোই সহনীয় হবে না।

 

একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা  

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর