আইনি সচেতনতা না থাকায় আদালতে অনেক অপ্রয়োজনীয় মামলার স্তূপ পড়ে আছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। সচেতনতা থাকলে মীমাংসার মাধ্যমেই অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব হতো বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) সন্ধ্যায় সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে ‘আইনের সহজপাঠ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্বোধনীতে তিনি এ কথা জানান।
প্রধান বিচারপতি বলেন, বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিককে সংবিধান ও প্রচলিত আইনের বিধানগুলো জানতে হবে।
নাগরিকদের ন্যায়বিচার পাওয়া নিশ্চিত না করা পর্যন্ত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে না বলেও মত দেন ওবায়দুল হাসান।
একই অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ বলেন, আইনের জটিল ভাষা না জানায়, তৃণমূল থেকে শহরের ভুক্তভোগীরা বিচার পাচ্ছেন না। জানছেন না কোথায় কীভাবে মামলা করতে হবে।
অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনও একই কথা জানালেন। তিনি বলেন, অজ্ঞতার কারণে অনেক সময় বিচারপ্রার্থীরা বিচার পাচ্ছেন না। তাই বিচারপ্রক্রিয়ার বিষয়ে জনসাধারণকে জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
বিনামূল্যে অসচ্ছল ও অসহায় মানুষকে আইনি সহায়তা দিতে সরকার দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড অফিস স্থাপনা করেছে বলে জানিয়েছেন বিচারপতি নাঈমা হায়দার চৌধুরী। তিনি বলেন, ভিকটিমদের ন্যায়বিচার নিশ্চিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বিচারবিভাগ কাজ করে যাচ্ছে।
একুশে সংবাদ/স.ট.প্র/জাহা