সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সরকারের নানা উদ্যোগে রেমিটেন্স প্রবাহে সর্বোচ্চ রেকর্ড

প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ৮ নভেম্বর, ২০২০

সরকারের নেয়া নানা পদক্ষেপের ফলে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে মোট রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা সর্বকালের মধ্যে সবোর্চ্চ রেকর্ড।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, প্রবাসীরা ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে দেশে ৮,৮২৫.৬৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে, যা ২০১৯-২০ অর্থ বছরের প্রথম চার মাসে পাঠানো রেমিটেন্সের চেয়ে ৪৩.২৪ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পযর্ন্ত চার মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ৬,১৬১.০২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাঠায়। পাশাপাশি মাসিক রেমিটেন্স প্রবাহ জুলাই মাসে ছিল সর্বোচ্চ। এ মাসে প্রবাসীরা দেশে ২,৫৯৮. ২১ মিলিয়ন ডলার পাঠায়।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল দেশের অর্থনীতি গতিশীল করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় দেশবাসীর পক্ষ থেকে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, তবে আমি রেমিটেন্স আহরণ প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দিতে বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভায় তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম। বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০২০ সালে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে এবং রেমিটেন্স আহরণে বাংলাদেশ অষ্টম স্থান অর্জন করবে।

অর্থমন্ত্রী আরো বলেন, চলতি অর্থ বছরে বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহে প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ হবে বলে বিশ্বব্যাংকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান মুখপাত্র এম সিরাজুল ইসলাম বলেন, দেশে বৈধ চ্যানেলে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে ২ শতাংশ ইনসেনটিভ দেয়াসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কতিপয় পদক্ষেপে প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখন বৈধ চ্যানেলে তাদের উপার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে উৎসাহিত হচ্ছে। ফলে রেমিটেন্স প্রবাহে বড় ধরনের ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।

সরকার ২০১৯-২০ জাতীয় বাজেটে রেমিটেন্সের ওপর ২ শতাংশ ক্যাশ ইনসেনটিভ ঘোষণা করে। এতে বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ দেখা দেয়। সরকার ২০২০-২১ অর্থ বছরেও রেমিটেন্সের ওপর ২ শতাংশ ইনসেনটিভ প্রদান অব্যাহত রেখেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থ বছরে প্রবাসীরা দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়েছে ১৮,২০৫. ০১ মিলিয়ন ডলার। যা আগের অর্থ বছরের চেয়ে ১০.৮৫ শতাংশ বেশি। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে দেশে রেমিটেন্স আসে ১৬,৪১৯. ৫৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবু রেজা মোহাম্মদ ইয়াহিয়া বলেন, বাংলাদেশে রেমিটেন্স প্রবাহ দিন দিন বাড়ছে। বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিটেন্স আনতে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং ব্যাংকগুলো কাজ করছে।  বৈধ চ্যানেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠাতে প্রবাসীদের উৎসাহিত করতে আমরা এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সঙ্গেও চুক্তি স্বাক্ষর করছি।

প্রবাসী বাংলাদেশিরা গত অক্টোবর মাসে দেশে ২,১১২.৪৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়েছে। এই অর্থ দেশের ৬টি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী, জনতা, রূপালী, সোনালী, বেসিক ও বিডিবিএল ব্যাংক চ্যানেলের মাধ্যমে এসেছে। 

এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংক বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে ৩৩.৫৬ মিলিয়ন ডলার এসেছে। অগ্রণী ব্যাংকের মাধ্যমে ২০১.৯২ মিলিয়ন, জনতা ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৯.৬৮ মিলিয়ন, রূপালী ব্যাংকের মাধ্যমে ৪৬.৬৩ মিলিয়ন, সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে ১৩৪.২৫ মিলিয়ন ও বেসিক ব্যাংকের মাধ্যমে ০.১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রেমিটেন্স এসেছে। 

পাশাপাশি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ১,৬০৪.৬৯ মিলিয়ন ডলার এসেছে। এর মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৭৪৮.৫৭ মিলিয়ন ডলার ও ডাচ বাংলা ব্যাংকে এসেছে ২৩৮.১৫ মিলিয়ন ডলার। এছাড়া বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে ১১.৬০ মিলিয়ন ডলার এসেছে। খবর ডেইলি বাংলাদেশের

একুশে সংবাদ/এআরএম

অর্থ-বাণিজ্য বিভাগের আরো খবর