সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কাউন্সিলর সোহেল হত্যার ভিডিও ভাইরাল

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৩৬ পিএম, ২৫ নভেম্বর, ২০২১

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলসহ জোড়া খুনের ঘটনার একটি সিসিটিভি ফুটেজ  ভাইরাল হয়েছে। ওই ফুটেজে  কাউন্সিলর সোহেলের অফিস থেকে প্রায় ৫০ গজ পশ্চিমে মুখোশপরা দুই অস্ত্রধারীর আশপাশের বাসাবাড়িতে গুলি করার চিত্র দেখা গেছে।

২ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, কাউন্সিলর কার্যালয় থেকে পশ্চিম দিকে সুজানগর-পাথুরিয়াপাড়া সড়কে মুখোশপরা দুই যুবক প্রকাশ্যে গুলি করছেন। এ সময় আশপাশের সব দোকানপাট বন্ধ ছিল। রাস্তায়ও কাউকে চলাচল করতে দেখা যায়নি। তবে এ সময় সন্ত্রাসীদের লক্ষ্য করে স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত হয়ে গুলি ছুড়তে ছুড়তে পালিয়ে যান তারা। এর কিছুক্ষণ পরই স্থানীয়রা বাড়িঘর থেকে বের হয়ে দৌড়ে পূর্ব দিকে কাউন্সিলরের কার্যালয়ের দিকে যান। ভিডিও ফুটেজে এক যুবকের হাতে দুটি এবং আরেক যুবকের হাতে একটি পিস্তল দেখা যায়।

এ বিষয়ে কুমিল্লা র‌্যাব-১১, সিপিসি-২ এর অধিনায়ক মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন বলেন, ঘটনার পর সুজানগর ও পাথুরিয়াপাড়া এলাকার থেকে সব সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। এসব ফুটেজ পর্যালোচনা করে অস্ত্রধারীদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।

এদিকে ঘটনার পরদিন মঙ্গলবার (২৩ নভেম্বর) রাত সোয়া ১২টার দিকে কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের শাহ আলমসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে বুধবার (২৪ নভেম্বর) সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুমন নামের মামলার চার নম্বর আসামিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। তিনি কুমিল্লা মহানগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের সুজানগর পূর্বপাড়া বৌবাজার এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে।

এর আগে কাউন্সিলর সোহেল ২২ নভেম্বর (সোমবার) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকার নিজ কার্যালয়ে বসেছিলেন। এসময় তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে মুখোশধারী একদল দুর্বৃত্ত। এতে তিনিসহ  গুলিবিদ্ধ হন অন্তত পাঁচজন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে  নিয়ে যায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা ।

একুশে সংবাদ/জা/তাশা

অপরাধ বিভাগের আরো খবর