সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ট্রিপল মার্ডারে স্বামী - স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেফতার স্ত্রী মেহজাবিন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:৩৬ পিএম, ২০ জুন, ২০২১

পুরান ঢাকার কদমতলীতে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই পরিবারের মা-বাবা ও বোনকে হত্যার ঘটনায় আটক মেহজাবিন ইসলাম মুন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

শনিবার রাত ১২টার দিকে মামলাটি করেন হত্যার শিকার মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন।

রবিবার (২০ জুন) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) শাহ ইফতেখার আহমেদ।

ডিসি বলেন, ‘বাবা-মা ও বোনকে হত্যার অভিযোগে মেয়ে মেহজাবিন ও তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেন মাসুদ রানার বড় ভাই শাখাওয়াত হোসেন। মামলার বিবাদী মেহজাবিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম অরণ্য রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালে পুলিশি হেফাজতে চিকিৎসাধীন।’

ওসি জামাল উদ্দিন মীর বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকালই মেহজাবিন ইসলাম মুনকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর তার স্বামী শফিকুল ইসলাম আহত অবস্থায় ঢামেকে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাকে পুলিশি পাহারায় রাখা হয়েছে। সুস্থ হলে তাকে এই মামলায় গ্রেফতার দেখানো হবে।

পুলিশ বলছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত শুক্রবার (১৯ জুন) দিনগত রাতে মেহজাবিন নামের এক নারী তার বাবা মাসুদ রানা (৫০), মা মৌসুমী (৪৫) ও বোন জান্নাতুলকে (২০) হত্যা করেন। হত্যার শিকার প্রত্যেকের গলায় দাগ ছিল। পুলিশের ধারণা, প্রথমে ঘুমের ওষুধ বা নেশাজাতীয় কিছু খাওয়ানোর পর গলায় ফাঁস দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।

মা-বাবাসহ ছোট বোনকে হত্যা করে ৯৯৯-এ ফোন দেন মুন নিজেই। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কদমতলীর মুরাদপুর হাজী লাল মিয়া সরকার রোড এলাকা থেকে স্বামী, স্ত্রী ও মেয়ের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে। আটক মেহজাবিন থাকেন আলাদা বাসায়। মায়ের বাসায় বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।

কদমতলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম আজাদ জানান, নিহতের বড় মেয়ে মেহজাবিন সকালে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বলেন, ‘মা-বাবা ও ছোট বোনকে হত্যা করেছি। আপনারা আসেন। এসে আমাকে ধরে নিয়ে যান।’

সূত্রে জানা যায়, গত দুদিন আগে স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে মায়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেহজাবিন। এসেই তার ছোট বোন জান্নাতুলের সঙ্গে তার স্বামীর পরকীয়া রয়েছে বলে বাবা-মাকে অভিযোগ করেন। এর জেরেই হয়তো তিনি এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।

একুশে সংবাদ/তাশা

অপরাধ বিভাগের আরো খবর