সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ট্রেনের ডিজিটাল টিকেট সেবা থেকে বঞ্চিত জামতৈল স্টেশনের যাত্রীরা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:০০ পিএম, ৬ এপ্রিল, ২০২৩

সারাদেশে ট্রেনযাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে এবং কালোবাজারি টিকিট বিক্রি বন্ধে ১ মার্চ থেকে ভোটার আইডি কার্ডের নম্বর ও জন্ম তারিখ দিয়ে নিবন্ধন সম্পন্ন না করে ট্রেনের টিকিট নেওয়া যাবে না রেল বিভাগ এই আদেশ জারি করলেও ডিজিটাল সিস্টেমে টিকিট বিক্রির ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার একমাত্র ট্রেন যাত্রীদের ভরসা ব্রিটিশ আমলে নির্মিত জামতৈল রেলওয়ে স্টেশনের যাত্রীরা।

 

মুজিববর্ষ উপলক্ষে রেলওয়ে স্টেশনটির আধুনিকায়নের কাজ হলেও ডিজিটাল সেবা চালু না হওয়ায় ভোটার আইডি বা জন্মনিবন্ধন কার্ডের নাম্বার নিয়ে টিকিটের উপর সেই নাম্বারটি হাতে লেখা টিকিট কিনতে হচ্ছে যাত্রীদের।

 

রবিবার (২ এপ্রিল) স্টেশনে সরেজমিনে দেখা যায়, কয়েকজন যাত্রী টিকিট কাউন্টারে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ট্রেনের টিকিট সংগ্রহের জন্য। তাদের হাতে আইডি, জন্মনিবন্ধন কার্ড অথবা নাম্বার। তারা বলেন, যেহেতু এই স্টেশনে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা নেই। এজন্যই হাতে লেখা টিকিট কিনতে হচ্ছে। আমরা দ্রুত ডিজিটাল ব্যবস্থা চাই।

 

যশোরগামী সুন্দরবন ট্রেনের এক যাত্রী বলেন, ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া ট্রেনের টিকিট দেবে না। পরে আমি ফোন করে আইডি নাম্বার নিয়ে টিকিট ক্রয় করলাম। যেহেতু নিয়ম করেছে এরপর থেকে ঐভাবেই আসবো।

 

আরেকজন যাত্রী বলেন, এখানে যদি রেজিস্ট্রেশন এবং ডিজিটাল সিস্টেমে টিকিট ক্রয়ের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আমাদের এতো ভোগান্তি হতো না।

 

জামতৈল স্টেশন সূত্রে জানা যায়, স্টেশনে প্রতিদিন পাঁচটি ট্রেন আপ-ডাউন করে। সিল্কসিটি এক্সপ্রেসের ঢাকার ১৫টি রাজশাহীর ২০টি সিট, সুন্দরবন এক্সপ্রেসের ঢাকার ১০টি খুলনার ৫টি সিট, দ্রুতযান এক্সপ্রেসের ঢাকার ৭টি পঞ্চগড়ের ৫টি ও দিনাজপুরের ১০টি সিট, ধূমকেতু এক্সপ্রেসের রাজশাহী ২০টি সিট এবং সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসের ঢাকার চেয়ার ১৫টি ও সাধারণসহ ৫৫টি সিট বরাদ্দ রয়েছে।

 

স্টেশনের বুকিং সহকারী জুলহক আলী বলেন, স্টেশনে কম্পিউটার সিস্টেম না থাকায় ভোটার নম্বর বা ভোটার কার্ডের ফটোকপি নিয়ে টিকিট দেওয়া হচ্ছে। কম্পিউটার মাধ্যমে টিকিট বিক্রির জন্য কর্তৃপক্ষ ৭ দিনের টিকিটের সামারি নিয়েছে আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি আমরা ডিজিটালে টিকিট বিক্রি করতে পারবো।

 

জামতৈল স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ হান্নান বলেন, এই ঐতিহ্যবাহী স্টেশনটিতে পুরাতন ম্যানুয়ালে টিকিট সরবরাহ হয়। ডিজিটাল সেবা না থাকায় একদিকে যেমন সময় অপচয় হয় অন্যদিকে অত্র এলাকা জনসাধারণ যে ট্রেনগুলি এখানে থামায় না ঐ ট্রেনের টিকিটও কাটতে পারবে। হাতে লেখার কারণে অনেক সময় ট্রেনের ভিতরে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে কম্পিউটারাইজ থাকলে এই দুর্ঘটনাগুলো ঘটবে না। ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের কাছে দাবি ইতিমধ্যে স্টেশনটিতে উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে এখন কম্পিউটারইজ হলে আরো উন্নত হবে।

 

রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় কর্মকর্তা নাসির উদ্দিন বলেন, আমাদের কিছু স্টেশন কম্পিউটারাইজ করার প্রক্রিয়ায় আছে তার মধ্যে জামতৈল রেলস্টেশন ১টা। এটা আমরা করিনা ঢাকা রেল সেন্টার থেকে করে। আশা করছি হয়ে যাবে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর