সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

১৮ বছর ধইরা কইতাছি রাস্তাডা শুধু কইরা দেন আর কিচ্ছু চাই না

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৫৭ পিএম, ২৩ মার্চ, ২০২৩

দীর্ঘশ্বাস ফেলে এই কথাগুলো বলছিলেন পায়ে হেটে সংযোগ-সড়কহীন কালভার্ট- পারাপার হওয়া স্থানীয় পথচারী ইয়াকূব আলি ও আব্দুল জাদ্দার। জনভোগান্তির এই কালভার্ট-টি ময়মনসিংহের তারাকান্দায় ২০০৪ সালে ফেব্রুয়ারী মাসে ৫ লাখ টাকা ব্যায়ে এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে ও এলজিইডি বাস্তবায়নে নির্মান করা হয় বলে কালভার্টের ফলক নামায় দেখা যায়।

 

সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, তারাকান্দার পুরাতন সাবরেজিস্টার অফিস হতে নারায়ণপুর সড়কের তারাকান্দা পূর্বপাড়া  ফকিরের মোড়ের পূর্বপাশে ১৯৮৮ সনের বন্যায় রাংসা নদীর বাধ ভেঙ্গে  সড়কটি বিলুপ্তি হয়ে বড় নালার সৃষ্টি হয়। যার ফলে ধলিরকান্দার আংশিক, নন্দিপুর, দর্জিপুর,বনপলাশিয়া, নারায়ণপুর গ্রামের লোকজন বিকল্প সড়ক হিসাবে প্রায় এক কিলোমিটার ঘুরে অন্যের বাড়ির ব্যক্তিগত রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করে।

 

এছাড়া আশপাশের লোকজনও বিকল্প রাস্তা হিসাবে সেটিকে ব্যবহার করতে শুরু করে। পরে নালায় (বর্তমানে ডোবায় পরিনত) বিএনপির আমলে ২০০৪ সালে কালভার্ট টি নির্মাণ করা হলেও আজ অবধি সংযোগ সড়ক না করায় সেটি কোনো কাজেই আসছে না। দু-পাশে মাটি না থাকায়  যানবাহন তো দুরের কথা, লোকজনই ঠিকমত পায়ে হেটে যাতায়ত করতে পারছে না।

 

স্থানীয়দের অভিযোগ, বার বার সংযোগ সড়ক করে দিবার প্রতিশ্রুতি পেলেও সেটি প্রতিশ্রুতি পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকছে এবং দু-একবার মাটি ফেলে রাস্তা বানানোর কাজ শুরু করে দিয়েও কোনো এক অজানা কারনে সেটি আর হয়নি বলেও স্থানীয় পথচারীরা অভিযোগ করেন।  

 

বর্তমানে কালভার্টের পশ্চিম পাশের রাস্তায় যানবাহন থামিয়ে পায়ে হেটে সরু-চিকন ডোবার পথ দিয়ে ৩০-৩৫ মিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয় পথচারীদের। অন্যথায় প্রায় ১ কি.মি ঘুরে যানবাহন দিয়ে ব্যক্তিগত মালিকানাধীন অন্যের বাড়ির রাস্তা দিয়ে যেতে হয়।  "ব্যক্তি মালিকানাধীন রাস্তাটি বন্ধ করে দিলে চলাচলের বিকল্প রাস্তাটিও হারিয়ে ফেলতে হবে যা বর্ষাকালে চলাচলে আরও কঠিনতর হয়ে যাবে বলে জানান পথচারীরা।

 

আর কোনো প্রতিশ্রুতি বা আশার বানী না শুনিয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত কালভার্টে সংযোগ সড়ক করে দিয়ে তাদের ১৮ বছরের ভোগান্তি দূর করবেন বলে জোর দাবি তুলেন পথচারী ও স্থানীয়রা।

 

একুশে সংবাদ/রা.হো.প্রতি/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর