সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

শিবপুর উপজেলা চেয়ারম্যানকে হত্যাচেষ্টা, দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:৪০ পিএম, ২২ মার্চ, ২০২৩

নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ২৫ বছরের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুনুর রশীদ খানকে গুলি করে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে প্রতিবাদ সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকালে উপজেলার ইটাখোলা গোলচত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

 

ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হারুন অর রশিদ খান অ্যাম্বুলেন্সে করে এসে প্রতিবাদ সভায় যোগ দেন এবং হুইল চেয়ারে বসে দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

 

এসময় হারুন অর রশিদ খান তার বক্তব্যে বলেন, হত্যার উদ্দেশ্যে আমার বাসায় ঢুকে আমাকে গুলি করার দুঃসাহস তারা কোথা থেকে পেয়েছে? তারা কার সাথে চলাফেরা করেন আপনারা সব জানেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি বেঁচে আছি। তিনি সুস্থতার জন্য সকলের দোয়া চেয়ে বলেন, কারা আমাকে বাসায় ঢুকে গুলি করেছে, তারা চিহ্নিত হয়েছে। অস্ত্র সরবরাহকারী ও মদদ দাতাদেরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী শনাক্ত করেছেন। তারা এমপি জহিরুল হক মোহন ও তার ভাই জুনায়েদুল হক জুনুর আশ্রয় প্রশ্রয়ে থেকে অতীতেও অনেক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও অপকর্ম করেছে। এখন প্রভাব খাটিয়ে আমাকে হত্যাচেষ্টার মামলাটি ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। যারা আমার ওপর গুলির প্রতিবাদে সরব তাদেরকে হয়রানীর চেষ্টা করছে।

 

তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তাকে হত্যা চেষ্টায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানান।

 

তিনি আরও বলেন, আমার ভাই প্রয়াত এমপি শহীদ রবিউল আউয়াল খান কিরণ হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করেননি। আমরাও সন্ত্রাসের রাজনীতি করি না। আমি গুলিবিদ্ধ হওয়ার পরও হাসপাতালে থেকে বলেছি এমন কোন কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণের ক্ষতি হয়। আপনারা যদি আন্দোলন করতে চান তাহলে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করবেন।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুহসীন নাজিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক সামসুল আলম ভূইয়া রাখিলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সিরাজুল ইসলামা মোল্লা, কেন্দ্রিয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আ.ফ.ম মাহবুবুল হাসান মাহবুব, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোন্তাজ উদ্দিন ভূইয়া, আমিরুল ইসলাম ভূইয়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল কবির শাহিদ, কোষাধ্যক্ষ মাহফুজুল হক টিপু, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাপসী রাবেয়া, শিবপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি খোকন ভূইয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

সভায় শিবপুরের সাবেক এমপি সিরাজুল ইসলাম মোল্লা তার বক্তব্যে বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনে আমার মনোনয়ন কনফার্ম ছিল। সেখানে হারুনুর রশীদ খান শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে উকালতি করে মোহন সাহেবকে মনোনয়ন পেয়ে দিয়েছিলেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেলেন দুই রাউন্ড গুলি। হারুনুর রশীদ খান যাদের নাম বলেছেন এরা কারা, দীর্ঘদিন এই মোহন সাহেক এবং ও তার ভাই লালন পালন করেন। এটা শিবপুরের আবাল বৃদ্ধবনিত সবাই জানে। সত্যিকার অর্থে আমরা শিবপুরের জনগন মোহন আতংকে আছি। তিনি কখন কাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করেন তা বলা যায় না। কখন কাকে বিপদে ফেলবে বলা যায়না।

 

সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা হারুন অর রশীদ খানের দলীয় অব্যাহতি প্রত্যাহার ও গুলির ঘটনায় জড়িত মদদ দাতাদের দল থেকে বহিষ্কারের জন্য উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রতি দাবী জানান। শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হারুনুর রশীদ খানকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে শিবপুর সদরের বাজার রোডের নিজ বাসায় ঢুকে গুলি করে গুরুতর আহত করে দুর্বৃত্তরা। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর