সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়ে যৌ‍‍‍‍’ন পল্লিতে তরুণী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

মাসখানেক আগে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়েছিলেন ১৯ বছর বয়সী এক তরুণী। কিন্তু প্রেমিক তাকে না নিয়ে প্রতারণা করে ফেলে চলে যায়।পরে এক রিকশাচালক তরুণীকে নিয়ে বিক্রি করে দেন যৌনপল্লিতে।

 

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন ভুক্তভোগী। ৯৯৯ থেকে নির্দেশনা পেয়ে তাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের একটি দল।

 

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকালে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরের পুলিশ পরিদর্শক (গণমাধ্যম ও জনসংযোগ কর্মকর্তা) মো. আনোয়ার সাত্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

সন্ধ্যায় ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার জানান, কয়েক মাস আগে প্রেমিকের ডাকে ঘর ছেড়ে এলেও প্রতারণার শিকার হন ঐ তরুণী। ওই প্রেমিক পালিয়ে গেলে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। তাকে এ অবস্থায় দেখেতে পেয়ে কম টাকায় একটি হোটেলে থাকার জন্য নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এক রিকশাচালক। কিন্তু তরুণীকে রিকসাচালক হোটেলে না নিয়ে, ফরিদপুরের রথখোলা এলাকার একটি যৌনপল্লিতে দালালের কাছে বিক্রি করে দেয়।  

 

সেখানে জোরপূর্বক যৌনতায় বাধ্য হন তরুণী। তাকে মারধর করা হতো। নির্যাতন সইতে না পেরে সুযোগ বুঝে জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন তিনি।

 

পুলিশ কর্মকর্তারা আরো বলেন, নির্যাতিতা ফরিদপুর রথখোলা এলাকার যৌনপল্লিতে একজন সহৃদয় খদ্দেরের মোবাইল ব্যবহার করে তিনি ফোন করেছেন। তাকে উদ্ধারের অনুরোধ করেন। ফোনটি রিসিভ করেছিলেন ৯৯৯ কলটেকার কনস্টেবল মামুনুর রশিদ। তিনি তাৎক্ষণিক ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলেন।

 

পরে ৯৯৯ ডিসপ্যাচার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দীপন কুমার মণ্ডল সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশ ও কলারের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ করে পুলিশি তৎপরতার আপডেট নিতে থাকেন। ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা-পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে যায়। অভিযান চালিয়ে শহরের রথখোলা থেকে তরুণীকে উদ্ধার করেন।

 

অভিযানে নেতৃত্ব দেন ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার থাকা উপ-পরিদর্শক (এসআই) খায়রুল। তিনি জানান, তরুণীকে থানায় আনা হয়েছে।

 

এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুমন রঞ্জন সরকার ও ৯৯৯ নম্বরের পুলিশ পরিদর্শক মো. আনোয়ার সাত্তার।

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমএ জলিল  বলেন, এ ব্যাপারে ওই তরুণী বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে অপহরণ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে ওই তরুণীকে তার মা-বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর