সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কোটচাঁদপুরে ভুক্তভোগী মৎস্যজীবিদের মানববন্ধন 

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৭:৩৬ পিএম, ১৩ আগস্ট, ২০২২
ছবি: সংগৃত

লুটের করা টাকা ফেরত ও হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগী মৎস্যজীবিরা। শনিবার (১৩ আগষ্ট) বিকাল ৫ টার সময় জগদীশপুর হালদার পাড়ার বাওড়ের তীরে এ মানববন্ধন করেন তারা।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলার বেশ কযেকটি বিল, বাওড় রয়েছে। যার মধ্যে জগদীশপুর বাওড় অন্যতম। এ বাওড় ঘিরে বসবাস করেন ৫৩ ঘর মৎস্যজীবি। যারা এ বাওড়ের মৎস্য আহরণ করে জীবিকা চালায়। তবে এ বাওড় চাষ করতে গিয়ে তাদেরও পোহাতে হয় অনেক ধরনের ঝামেলা। শুক্রবার রাতের ঘটে যাওয়া ঘটনা তাঁর বহির প্রকাশ। এ ঘটনা নিয়ে এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ সব থেকে রেহাই পেতে শনিবার জগদীশ বাওড়ের তীরে মানববন্ধন করেন। এ সময় মৎস্যজীবি সম্প্রদায়ের প্রায় ২ শতাধিক নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন। 

মানববন্ধনে বক্তব্যে ভুক্তভোগী মৎস্যজীবি ও সমিতির সভাপতি নারায়ন মন্ডল বলেন ,কোটচাঁদপুর উপজেলার সব থেকে পুরাতন সমিতি আমাদের। এ সমিতির আওতায় আমরা এ বাওড়ো মাছ চাষ করে থাকি। এবারও  ২০২১ সালের দিকে বাওড়ের ডাক পায় ওই সমিতি। এরপর থেকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কানাই হালদার একটা গ্রুপ করে,আমাকে বাদ দিয়ে মাছ করছিল। চাষে ১৪ লাখ টাকা লোকসান দেখান তারা। এ সব বিষয় নিয়ে শুক্রবার মিটিংয়ে বসা হয় স্থানীয পুজা মন্ডপে।  এ সময় রাজিবুল, মোহাম্মদ আলী সহ কয়েক মটর সাইকেল করে ঘটনাস্থলে আসেন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে। ওই সব দেখে মিটিং থেকে সভায় দৌড়ে পালায়। এ সময় মিটিং স্থলে থাকা সমিতির প্রায় ১২ লাখ টাকা নিয়ে যায় তারা। আমরা সংখ্যা লঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। বাওড়টি চাষ করে আমাদের জীবিকা চলে। আর তাতে বাদ সাধে ওই গ্রুপের লোকজন। আমরা তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে চাই। এ বিষয়ে সকালে কোটচাঁদপুর মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। 

এ প্রসঙ্গে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কানাই হালদার জানান,আমিও মিটিংয়ে ছিলাম। যারা টাকা পাবা তারা গিয়ে ছিল। যার মধ্যে ছিল রাজিবুল,মোহাম্মদ আলী, মোহাম্মদ আলীর ছেলে। আর যে টাকার কথা বলছে,সেটা মিথ্যা। আমাদের সমিতির টাকাই নাই।সমিতি চলছে লোকসানে। 

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক ফরিদ হোসেন বলেন,জগদীশ বাওড়ের ঘটনা নিয়ে একটা অভিযোগ হয়েছে। তারা বলেছেন,বাওড়ে চাষ করলে বিবাদের টাকা দিতে হবে। টাকা দিতে অপরগতা জানালে ১৩ তারিখ রাতে তারা এসে আমাদের উপর হামলা করেন। এসময় তাদের কাছে ১২ লাখ টাকা ও তারা জিনিয়ে নেন বলে তারা জানান।
 

 

 

একুশে সংবাদ/সু.কু/এস.আই

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর