সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

কটিয়াদীতে জনশুমারী কার্যক্রমে স্বজনপ্রীতির অভিযোগ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ১১:২৮ এএম, ১২ জুন, ২০২২
ছবি: সংগৃহীত

জনশুমারী ও গৃহগণনা-২০২১ সারা দেশে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামী ১৫-২১ জুন ২০২২। শুমারী কার্যক্রম স্বচ্ছ, সুন্দর ও সঠিক তথ্যের জন্য দেশে এই প্রথম ডিজিটাল শুমারী অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে প্রত্যেক গণনাকারীকে একটি করে ডিজিটাল ট্যাব সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস সরবরাহ করা হয়। 

এ উপলক্ষ্যে সারা দেশে একযোগে সুপারভাইজার ও গণনাকারীদের দুই ধাপে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলছে। ট্যাবে গণনাকারী, সুপারভাইজার, ইউসিসি, ডিসিসিসহ সকলের নাম উল্লেখ রয়েছে। যারা এ কার্যক্রমে সুপারভাইজার ও গণনাকারী হিসেবে কাজ করছেন তারা প্রত্যেকেই  একটি স্বচ্ছ নিয়োগ  প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাছাই হয়ে এসেছে। গণনাকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক ও সুপারভাইজারের যোগ্যতা স্নাতক পাশ। কিন্তু কটিয়াদী উপজেলার চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে অস্থায়ীভাবে অবস্থিত প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে  কিছু অভিযোগ  পাওয়া যায়। এ কেন্দ্রে জোনাল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন পিলু মমতাজ। গণনাকারী ও সুপারভাইজারদের সাথে রুক্ষ ও বদমেজাজী আচরণ করার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে।

আরো অভিযোগ পাওয়া যায় নিয়োগের মাধ্যমে দায়িত্ব পাওয়া সুপারভাইজারকে পরিকল্পিতভাবে বাদ দিয়ে নিজের  আপন বড় ভাই সাব্বির আহমেদকে ওরফে সাদ্দামকে সুপারভাইজার হিসেবে নিয়োগ দেন তিনি। সাব্বির আহমেদের নাম ও মোবাইল নাম্বার গণনাকারীদের ডিজিটাল ট্যাবে  সুপারভাইজার হিসেবে এন্ট্রি পাওয়া যায় ২য় ধাপের প্রশিক্ষণের ৩য় দিনে। ট্যাবে এন্ট্রি করা সুপারভাইজার সাব্বির আহমেদ একদিনও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করেনি এমনকি গণনাকারীরা তাকে কেন্দ্রে এ পর্যন্ত আসতেও দেখেনি।  প্রশিক্ষণের ৩য় দিনেও এ তথ্য ট্যাবে বিদ্যমান। অথচ প্রশিক্ষণে সালমা নামে আরেক ব্যক্তি অংশগ্রহণ করেন। সাংবাদিকদের অনুসন্ধানে এ তথ্য পাওয়া যায়। এ তথ্য জানাজানি হলে এলাকায় মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। 

এ দিকে পিলু মমতাজ নিজের ভাইয়ের নাম ট্যাব থেকে ডিলেট করার জন্য গণনাকারীদের ট্যাব দ্রুত তার বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য গণনাকারীদের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাপ দিতে থাকেন বলে জানা যায়। পরে সবাই তার বাড়িতে ট্যাব জমা দিয়ে আসেন। এ দিকে অনুসন্ধানে অংশগ্রহণকারী এক সাংবাদিককে  অভিযুক্ত পিলু মমতাজের বাবা বাচ্চু মিয়া কল দিয়ে সাক্ষাতে কথা বলার জন্য বলেন। 

রাতে উপজেলা সার্ভারে সালমা আক্তারের নাম সুপারভাইজার হিসেবে পাওয়া। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান সার্ভারে এ তথ্য যেকোনো সময় এডিট করে এন্ট্রি করা যায়। এ ব্যাপারে  হাবিব নামে এক ব্যক্তি বলেন মাত্র কিছু টাকার জন্য যারা শুমারী কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক। শুমারী কার্যক্রম সুষ্ঠু ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে প্রত্যেকের লোভ ও স্বজনপ্রীতি বাদ দিয়ে  সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হবে বলে জানান বিশিষ্ট জনেরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। 

একাধিক সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলেন, পিলু মমতাজের আচরণ অত্যন্ত খারাপ। এছাড়া নিয়োগে বর্ণিত শিক্ষাগত যোগ্যতার কম ব্যক্তিকেও কাজে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়া যায় এইসএসসির পরিবর্তে নিয়ম বহির্ভূতভাবে এসএসসি পাশ গণনাকারীও নিয়োগ দিয়েছেন অভিযুক্ত পিলু মমতাজ। প্রশিক্ষণে প্রদানকৃত খাবারের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেন অনেকে। 

উল্লেখ্য, পিলু মমতাজ চান্দপুর ইউনিয়নের চারিয়া গ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে।

 

 

 

একুশে সংবাদ/মো.স/এস.আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর