সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জামালপুরে নির্বাচনী সহিংসতায় ১ জনের মৃত্যু আহত ৯

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ৫ জানুয়ারি, ২০২২
ছবি: একুশে সংবাদ

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নে নির্বাচনী সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ আল আমীনকে (২২) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। 

নিহত আল আমিন মেরুর চরের বাঘাডুবা গ্রামের আচ্ছা মিয়ার ছেলে। তিনি আনারস প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থী মনোয়ার হোসেনের সমর্থক।


আল-আমীনের স্বজন সাকিব মিয়া বলেন, বুধবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে দুই প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে আল আমীন মাঠে ছিল। দৌড়াদৌড়ির সময় এক ফাঁকে তার শরীরে গুলি লাগে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জাল ভোট দেয়াকে কেন্দ্র করে দুপুর ১২ টার দিকে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. সিদ্দিকুর রহমান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী (আনারস) মনোয়ার হোসেন হকের এজেন্টদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ খবর বাইরে ছড়িয়ে পড়লে লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে উভয়পক্ষের কর্মীরা। এ সময় পুলিশের একটি পিকআপে আগুন দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নির্বাচনে ব্যবহৃত ৩টি মোটর সাইকেলেও আগুন দেয় উভয়পক্ষের উত্তেজিত লোকজন। প্রার্থীদের কর্মীরা গুলি ছুঁড়লে পুলিশও গুলি ছোঁড়ে। সংঘর্ষ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। এ সময় আল আমীন গুলিবিদ্ধ হন। এতে পুলিশসহ অন্তত ৯ জন আহত হয়।

আহতরা হলেন, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট, ওসি (তদন্ত) আব্দুর রহিম, কনস্টেবল আব্দুল আলিম (৪০), মো. শাহজাহান (৫৫), আ. মজিদ (৫৭) ও আনসার সদস্য আব্দুল আলিম (২৫)। আহত সাধারণ লোকদের নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

ওসি মো. শফিকুল ইসলাম সম্রাট বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রথমে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এ সময় লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া লোকজনের আঘাতে ৫ পুলিশ ও এক আনসার সদস্য আহত হন। উত্তেজিত কর্মীরা গুলি ছুড়লে পুলিশও ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলি ছোড়ে। তবে আল আমীন পুলিশের গুলিতে মারা যাননি।


একুুশে সংবাদ/নাহিদ/এইচ আই
 

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর