সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মবিলের দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৩৭ পিএম, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে কালো তেলের জমজমাট ব্যবসা চলছে। এই তেল সহজলভ্য হওয়ায় বিষাক্ত কালো তেল কিনে ভবিষ্যতের জন্য সঞ্চয়ে রাখেন। এতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পরিবেশ মারাত্মক দূষণের শিকার হয়ে মানুষের জীবনযাত্রা অসহনীয় হয়ে ওঠেছে। কিন্তু এ নিয়ে মাথা ব্যথা নেই কারো। ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙা যার মধ্যে একটি হলো কালো তেল। মূলত জাহাজের জ্বালানি হিসেবে এই তেল ট্যাঙ্কে রাখা থাকে। কিন্তু দীর্ঘদিন উত্তপ্ত ইঞ্জিনের সংস্পর্শে থেকে এই তেলে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে এটি তীব্র ঝাঁজালো দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে যায়। অনেক সময় তেলের ট্যাঙ্কে বিষাক্ত গ্যাসও জমে যায়। 

যার সান্নিধ্যে গেলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আবার এই তেল প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে এ থেকে ডিজেল, মবিলসহ নানারকম দাহ্য পদার্থ পাওয়া যায়। ফলে শিপব্রেকিং ইয়ার্ডগুলোতে ভাঙার জন্য আমদানি করা জাহাজের এই তেল কিনে। সেই কালো তেলকে প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ডিজেল, মবিল প্রভৃতিতে রূপান্তর করে তা অনেক বেশি লাভে বিক্রি করেন। ফলে এই কালো তেলের চাহিদাও প্রচুর।

এতে তারা অল্প সময়ে অনেক টাকার মালিক হলেও এই কালো তেলের ব্যবসার ওপর ক্ষুব্ধ অধিকাংশ সাধারণ মানুষ। কারণ, ব্যবসা স¤প্রসারণের সাথে সাথে এটি পাড়া-মহল্লায় পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে। আর তাতে অনেক এলাকায় এত প্রকট দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়েছে যে অনেকে রোগাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। 


মনোহারপুর গ্রামের আতিক হাসান বলেন,মবিলের দুৃর্গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছি! মবিল কারখানা থেকে আমার বাড়ি প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে।  তবুও আমার বাড়ি এবং আমার বাড়ির আশপাশের লোকজন পোড়া মবিলের দুগন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে যাচ্ছে। যারা কারখানার আশপাশে বসবাস করে তাদের অবস্থা ভয়াবহ! গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়ন দরগাবাজার এলাকায় মবিল কারখানাটি অবস্থিত। এতে সাধারণ মানুষ অনেকরকম সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন। এ তেলের দুর্গন্ধ এত তীব্র যে পুকুর থেকে আরো অনেকটা দূরে থাকতেই ভয়ানক গন্ধ নাকে লাগে। এখানে পোরা ব্যবহৃত মবিল রিপেয়ারিং (পুনর্নিমান) করা হয়। যার দুর্গন্ধ অত্যন্ত ভয়াবহ! মবিলের দুর্গন্ধ নাকে লাগলে মাথা ঘুরে, বুমি আসে! এই মারাত্মক দুর্গন্ধ থেকে এলাকাবাসীকে রক্ষা করতে  প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এদিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রসঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তর গাজীপুর জেলা উপ-পরিচালক মোঃ নয়ন মিয়া বলেন,এবিষয়ে কেউ কোনদিন আমাদেরকে জানাননি,তবে বিষয়টি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একুশে সংবাদ/সানি/আরিফ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর