সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

জমি দখলের অভিযোগ

চল্লিশ বছরেও কারেন্টের আলোর মুখ দেখেনি বিধবা ফিরোজা

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৬:৩৪ পিএম, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মীর মৃত্যুর পর এক ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বাবার দেওয়া ১৭ শতাংশ জমির উপর ছোট্ট একটি টিনের ঘর তোলে বসবাস করছেন ফিরোজা খাতুন। কিন্তু ওই ঘরে চল্লিশ বছর ধরে কারেন্ট এর আলোর মুখ দেখেনি বিধবা নারী ফিরোজা খাতুন। তার শেষ সম্ভল টুকু জবরদখল করে নেওয়ার পায়তারা করছে তারই আপন ভাই হাবি।

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ধনুয়া উত্তর পাড়া গ্রামের মৃত ইসব আলীর মেয়ে ফিরোজা খাতুন । বাবার দেওয়া জমি নিয়ে দির্ঘ দিন ধরে আপন ভাইদের সাথে বিরোধ চলে আসছে। এনিয়ে তার ভাই অনেক বার মারধর করেছে ফিরোজাকে।এলাকার বিভিন্ন মাদবরদের কাছে একাদিক বিচার দিয়েও কোন সমধান পাননি ফিরোজা খাতুন।এবিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় রিখিত াভিযোগ দিলেও কোন প্রকার সমধান হয়নি।

সরেজমিনে গিয়ে বিধবার জমি দখলের সত্যতা এবং স্থানীয়দের মাধ্যমে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফিরোজা খাতুনের কন্যা মুর্শিদা  আক্তার নামের এক ভুক্তভোগী শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। এতে বলা হয়, ধনুয়া গ্রামের মৃত ইউছুব আলীর ছেলে হাবিুবর রহমান হাবি নামের এক ব্যক্তি ওই বিধবার মেয়ে মুর্শিদার ক্রয়কৃত ১০ শতাংশ জমিতে টিনের বেড়া দিয়ে দখল করেছেন। এবং ঘরবাড়ি নির্মাণ করছেন হাবি।

মুর্শিদা বলেন, ধনুয়া মৌজার ১০ শতাঁংশ জমি ঢাকার বাসিন্দা মুঞ্জুর নামে একজন দলিল করে দেন। সেই থেকে জমিটি আমার মা ফিরোজার নিয়ন্ত্রণাধীন ছিল। পরে স্থানীয় কাউন্সিলরদের উপস্থিতিতে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সেখানে টিনের ঘর নির্মাণের জন্য অনুমোদন দেয় । 

বেশ কিছু দিন পরে সেখানে হাবি ঘর নির্মাণের প্রস্তুতি নিলে স্থানীয় মাদবরদের জানানো হয়। এ বিষয়ে একাদিক বিচার শালিসও হয়েছে কিন্তু হাবি জবরদখল করে ঘরবাড়ী নির্মাণ করে। স্থনীয় মাদবরদের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সম্প্রতি হাবি ও তার ছেলে সোহেল এর নেতৃত্বে ৮ থেকে ১০ জন জমির চারপাশে টিনের বেড়া দেন। পরে সেখানে ইটের একটি ঘর তোলেন।

ফিরোজা বলেন,আমার এই জমি আমার ভাই হাবি জোর করে দখল করে নেওয়া পায়তারা করছে। আমার জমিতে একটা টিনের ঘর করে অন্ধকারে বসবাস করছি চল্লিশ বছর ধরে অথচ আমার ভাই এরা তাদের বাড়ি থেকে একটু কারেন দেয়না,পানি দেয়না,অন্যের বাড়ি থেকে পানি এনে চলতে হয। 

হাবির অত্যচারে ডাকার এক লোকের কাছে জমি বিক্রি করে দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই জমি আমার মেয়ে মুর্শিদা ডঢাকার ওই লোকের কাছ থেকে দলিল করে কিনে আনছে। এখন ওই জমিটি দখলের পর বিভিন্ন লোকদের দিয়ে একাধিক বার হাবি আমাকে মারধর করেছে। এখন হুমকী দিয়ে হয়রানি করছেন। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার থানায় এস আই নাজমুর এর কাছে গেলে তিনি জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কোন প্রকার ব্যবস্থা নিতে পারবেন না বলেন। কিন্তু ওসি ও কোনো ব্যবস্থা নেননি।

এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে হাবিবুর রহমান হাবি জমি দখলের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বনদ্ব আছে। আমরা আপন ভাই বোন। আমার কোন জমি নেই কাগজও নেই। ঘর নির্মাণ করা হয়েছে এটা সত্য, এর বেশি কিছু তা আমি জানি না।

এবিষয়ে শ্রীপুর থানার এস আই নাজমুর বলেন,লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষদেরকে ডেকে সমাধানের কথা বলে দেওয়া হয়েছে।তবে অভিযোক্ত হাবিকে বাড়িতে পাওয়া যায়নি। তার বড় ভাই মজিবুর রহমানকে এক সপ্তাহর মধ্যে বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।


একুশে সংবাদ/সানি/আরিফ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর