সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

৬ কোটি টাকার চোরাইকৃত মালামালসহ গ্রেফতার ৬

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৪৩ পিএম, ১৪ আগস্ট, ২০২১

নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন এলাকা হতে প্রায় ৬ কোটি টাকা মূল্যের চোরাইকৃত গার্মেন্টস মালামাল সহ সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা চোরচক্রের ৬ সদস্য’কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৪। সেসময় তাঁদের কাছ থেকে  বিপুল পরিমাণ গার্মেন্টস সামগ্রী, ২ টি কাভার্ড ভ্যান ও ১ টি প্রাইভেটকার জব্দ। 

র‌্যাবের তথ্য মতে সম্প্রতি গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় যে, রাজধানী ঢাকা ও গাজীপুর থেকে গার্মেন্টস মালামাল বিভিন্ন দেশে রপ্তানী করার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের নেওয়ার পথে কিছু কিছু কাভার্ড ভ্যান হতে প্রায় ৩৫-৪০% দামী গার্মেন্টস মালামাল উধাও হয়ে যাচ্ছে। 

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৪ উক্ত চোরাকারবারীদের চিহ্নিত করার লক্ষ্যে ছায়া তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘদিন ধরে ছায়াতদন্ত এবং স্থানীয় সোর্সের সহায়তায় সংঘবদ্ধ এ দলকে অনুসরণ করে জানা যায়, ফ্যাক্টরী থেকে মালামাল নেওয়ার সময় পথের মধ্যে নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার একটি পরিত্যাক্ত রি-রোলিং মিলস্ এ কাভার্ড ভ্যান থামিয়ে সংঘবদ্ধ ১ টি চোরচক্র কাভার্ড ভ্যানের তালা না খুলে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রায় ৩৫-৪০% মালামাল চুরি করছে। 

উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল র‌্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানাধীন তালতলা, ধামগড় এলাকাস্থ উক্ত রি-রোলিং মিলস লিঃ এর ভিতর অভিযান পরিচালনা করে আনুমানিক ৬ কোটি টাকা মূল্যের চোরাইকৃত ৪১ বস্তা ও ৫০৬ কার্টুন ভর্তি গার্মেন্টস সামগ্রী, নগদ-৮২ হাজার টাকা, মালামাল পরিবহনে ব্যবহৃত ২ টি কাভার্ড ভ্যান, ১ টি প্রাইভেটকার এবং ১০ টি মোবাইলসহ সংঘবদ্ধ আন্তঃ জেলা চোরচক্রের ৬ জন সদস্য’কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। উদ্ধারকৃত গার্মেন্টস মালামাল সমূহ সংশ্লিষ্ট পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থার কর্তৃপক্ষ সনাক্ত করে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,
(১)    সিরাজুল ইসলাম (২৭), জেলা-বরিশাল
(২)    মোঃ জহির (৪০), জেলা-ভোলা
(৩)    মোঃ জনি (২৪), জেলা- জয়পুরহাট
(৪)    মোঃ জমির খান (৪০), জেলা-রাজবাড়ী
(৫)    মোঃ নুর জামান (৫৮), জেলা-শরিয়তপুর
(৬)    মোঃ তাবারক হোসেন (৩৯), জেলা-নারায়নগঞ্জ। 

র‌্যাব জানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃত আসামীরা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছেন। পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকা ও গাজীপুর থেকে বিভিন্ন দেশে রপ্তানীর গার্মেন্টস মালামাল চুরির ঘটনার সাথে জড়িত মর্মে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানা যায় যে, তারা মালামাল পরিবহনে নিয়োজিত চালকদের সাথে সংঘবদ্ধ একটি চোরাকারবারী চক্র। 

ধৃত দুর্ধর্ষ চক্রটি পরস্পর যোগসাজোশে বিগত কয়েক বছর ধরে গার্মেন্টস মালামাল কাভার্ড ভ্যান হতে বিশেষ প্রক্রিয়া চুরি করে স্থানীয় মার্কেটে চোরাইপথে কমদামে চুরিকৃত মালামাল বিক্রি করে আসছিলো। 

এতে করে দেশ প্রচুর পরিমান রাজস্ব থেকে বঞ্চিত ও গার্মেন্টস মালিকগণ প্রতিনিয়ত ক্ষতির সম্মুখীন হয়ে আসছিলেন। প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী এ ধরনের কয়েকটি চক্র ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সক্রিয় রয়েছে এবং প্রতি বছর শত কোটি টাকা মূল্যের বেশী পোশাক এসব চক্রের মাধ্যমে চুরি হয়ে যাচ্ছে।

উপরোক্ত বিষয়ে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এরূপ সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী দলের বিরুদ্ধে র‌্যাব-৪ এর জোরালো অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানায় র‌্যাব।


একুশে সংবাদ/বেলাল/আর

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর