খুড়িয়ে খুড়িয়ে লালপুরের গৌরীপুর টিকাদান কেন্দ্রে একাই এসেছিলেন ৮০ বছর বয়সী আতাজান বেগম। তার মত লালপুরে পরিক্ষামূলক গণ টিকাদান শুরুর দ্বিতীয় দিনও টিকা গ্রহীতার অধিকাংশই ছিল বয়স্ক। নারী ও প্রতিবন্ধীরাও এ টিকা কার্যক্রমে স্বতঃফূর্ত ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
রবিবার (৮ আগষ্ট) উপজেলায় চার ইউনিয়নের ১২ টি ওয়ার্ডের চার কেন্দ্রে টিকা গ্রহণ করেন ২ হাজার ৪শত জন। প্রতিটি কেন্দ্রেই টিকা গ্রহীতার চাপ থাকায় টিকা না পেয়েই ফিরেছেন অনেকেই।
উপজেলার ঈশ্বরদী ইউনিয়নের গৌরিপুর উচ্চ বিদ্যালয়কেন্দ্রে এই ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, গৌরিপুর স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ হযরত আলী ও ঈশ্বরদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেত্ববৃন্দ।
ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম জয় বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে উপযোগী সকল ব্যক্তিকে টিকা গ্রহণের আওতায় আনা হচ্ছে। আমরা তৃণমূলে টিকা গ্রহণে সাধারণ মানুষকে উদ্বভদ্ধ করায় মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়েছে। সকাল থেকেই এই কেন্দ্রে টিকা গ্রহিতারা লাইনে দাড়িয়ে সুন্দর ভাবে টিকা নিয়েছেন।
উল্লেখ্য ৭ জুলাই শনিবার তৃনমূলে টিকা গ্রহণ কার্যক্রম উদ্বোধনের প্রথম দিনে উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ১৮ টি ওয়ার্ডে ৩ হাজার ৬ শত লোককে টিকা প্রদান করা হয়।
একুশে সংবাদ/ইসলাম/প