সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

মুক্তিযোদ্ধার বাড়িতে ডাকাতি

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ৩ জানুয়ারি, ২০২১

নড়াইলে মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেম হোসেনের, বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের নেয়া চুরি মামলাটি অবশেষে প্রতিবাদের মুখে ডাকাতি মামলায় নেয়া হলো। কালিয়া নড়াগাতি থানার কলাবাড়িয়া গ্রামের এই ঘটনাটিতে প্রাথমিক তদন্তের নামে পুলিশ চুরির অভিযোগ, লিখে মুক্তিযোদ্ধাকে দিয়ে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ডাকাতির ঘটনায় চুরি মামলাটি দায়ের করে নেয় বলে অভিযোগ রয়েছে।

মোয়াজ্জেম হোসেন অভিযোগ করে বলেন, ২০ নভেম্বর রাত আড়াইটার দিকে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত ৮/১০ জনের একদল ডাকাত তার বসত ঘরের কলাপসিকল গেটের তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে স্ত্রীসহ তাকে বেধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি ও মারপিট করে। পরে নগদ টাকা, স্বর্নালংকারসহ ৮লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নেয়।

পরদিন ২১ নভেম্বর তিনি তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের আসামী করে নড়াগাতি থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। কিন্তু তাতে পুলিশের কোন সাড়া না মেলায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনাটি নড়াইল জেলা পুলিশের এক উর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানালে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে এবং তাকে আবার লিখত অভিযোগ থানায় জমা দিতে বলেন। তিনি ২৩ নভেম্বর সকাল ১০টার দিকে ওই থানায় অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ, জমা দিলে ওসি সেটিকে সংশোধনের জন্য অধিনস্তদের হাতে তুলে দেন।

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ওই মুক্তিযোদ্ধাকে বসিয়ে রেখে তার দেয়া ডাকাতির ঘটনার অভিযোগটি পরিবর্তন করে‘ডাকাতির স্থলে ৮/১০ জন আসামী আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে চুরি করার উদ্দেশ্যে বসত ঘরের কলাপসিপন গেটের তালা ভেঙ্গে সংগোপনে ঘরে প্রবেশ করে এবং জোর করে নগদ টাকাসহ মালামাল নিয়ে যায়। এই ভাবে পুলিশ তাদের ইচ্ছেমত লিখে বাদির আপত্তি স্বত্ত্বেও থানায় বসে ওসি ২৬ নভেম্বর স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে ৪৫৮/৩৮০ ও ৩৮২ ধারায় নড়াগাতি থানার একটি চুরির মামলা করেন।

পরবর্তীতে উর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার হস্তক্ষেপে মামলার তৎকালিন তদন্ত কর্মকর্তা এস আই খান মাহাবুবুর রহমান, সম্প্রতি আদালতে ধারা পরিবর্তনের আবেদনের মাধ্যমে ওই মামলার ধারা পরিবর্তন করে ৩৯৫ ও ৩৯৭ ধারা বসিয়ে সেটিকে ডাকাতি মামলায় রুপান্তরিত করা হয়েছে বলে ওই থানা সুত্রে জানা গেছে। 


মামলার বর্তমান তদন্তকারি কর্মকর্তা নড়াগাতি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন,‘ চুরি থেকে ডাকাতিতে রুপান্তরিত মামলাটির তদন্ত আমি নিজে শুরু করেছি। ইমিমধ্যে সন্দেহ ভাজন দুই ডাকাতকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তাদের কাছ থেকে দরজার তালা ভাঙ্গার কিছু সরজ্ঞাম উদ্ধার করা হয়েছে। 

উপজেলার নড়াগাতি থানার ওসি রোকসানা খাতুন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,‘ মুক্তিযোদ্ধা মোয়াজ্জেমের দায়েরকৃত মামলাটি চুরি ঘটনা হিসেবে রেকর্ড করা হলেও তদন্তকালে ঘটনাটি ডাকাতি হিসেবে প্রতীয়মান হওয়ায় সেটিকে ডাকাতি মামলায় রুপান্তরিত করা হয়েছে।

একুশে সংবাদ/উ.জ/এস

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর