সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

ধুনটে বাঙালী নদীর চর কেটে আ.লীগ নেতার উন্নয়ন

প্রকাশিত: ১০:২৭ এএম, ২১ নভেম্বর, ২০২০

উন্নয়নের নামে বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বাঙালী নদীর বুক থেকে গত এক সপ্তাহ ধরে এক্সক্যাভেটর দিয়ে মাটি কেটে বাণিজ্য করছেন স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা। তার নাম মোহাম্মাদ আলী। তিনি চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের বিলকাজলী গ্রামের বাসিন্দা ও সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি। প্রশাসনের কোন পুর্ব অনুমতি ছাড়াই বাঙালী নদীর পেচিবাড়ি এলাকায় চলছে এমন যজ্ঞ। 

সরেজমিনে দেখা যায়, বর্তমানে বাঙালী নদীর পানি শুকিয়ে গিয়ে চর জেগে উঠেছে। নদীর পুর্ব পাশ থেকে এক্সক্যাভেটর দিয়ে এক সপ্তাহ ধরে নদীর তীর ও বুক কেটে মাটি উত্তোলন শুরু করা হয়েছে। এ মাটি ট্রাক ও ট্রাক্টর দিয়ে পরিবহন করে বিক্রি করা হচ্ছে বসতভিটা, ইটভাটা ও বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে। প্রতি গাড়ি মাটি কমপক্ষে এক হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। মাটি কাটার ফলে বর্ষা মৌসুমে ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়বে আবাদি জমি ও বসতভিটা।

স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, শুষ্ক মৌসুমে মাটি কাটার বিরূপ প্রভাব বোঝা যায় না। কিন্তু বর্ষা মৌসুম এলেই নদীতে প্রবল ¯্রােত ও মাটি কাটার গর্তে ঘূর্ণিবর্তের ফলে আবাদি জমি ও বসতভিটা নদীতে বিলীন হবে। এ বিষয়ে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেও কোন কাজ হয় না।

মাটি ব্যবসায়ী ও উপজেলার চৌকিবাড়ি ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মোহাম্মাদ আলী বলেন, ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিগুলোর উচু নিচু সমান করে উন্নয়নের জন্য মাটি কেটে বিক্রি করছি। এতে নদী ভাঙনের কোনো আশঙ্কা নেই। আবাদি জমি কিংবা বসতভিটার কোনো ক্ষতি হবে না। তারপরও স্থানীয় কতিপয় ব্যক্তি আমার বিরুদ্ধে প্রশাসনের নিকট অভিযোগ করেছেন। তবে এই মাটি কাটার জন্য প্রশাসনের নিকট থেকে কোনো অনুমতি নেওয়া হয়নি।  

ধুনট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) আব্দুল্লাহ আল রনী বলেন, বাঙালি নদীর চর কেটে মাটি নেওয়ার কথা শুনেছি। মাটি কেটে বিক্রয়ের কোন অনুমতি কাউকে দেয়া হয়নি। দুই একদিনের মধ্যে সেখানে অভিযান চালিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

একুশে সংবাদ/এআরএম

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর