সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

সাত দফা দাবিতে ৭ কলেজের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০৫:৪৯ পিএম, ২৫ মে, ২০২৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ভবনে শিক্ষার্থীদের হয়রানি বন্ধ, শিক্ষক ও শ্রেণিকক্ষ সংকট নিরসনসহ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন ঢাবির অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে ঢাকা কলেজের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। পরে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সাত কলেজের সমন্বয়ক ও ইডেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে ইডেন কলেজের সামনে হাজির হন শিক্ষার্থীরা।

 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সাত কলেজের সমন্বয়কের সঙ্গে দেখা করতে তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এসময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ইডেন কলেজ প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো:

 

১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বিল্ডিংয়ে সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের হয়রানির বন্ধ করতে হবে।

২. যে সব শিক্ষার্থী পরবর্তী বর্ষের ক্লাস, ইনকোর্স  ও টেস্ট পরীক্ষা পর্যন্ত অংশগ্রহণ করার পর জানতে পেরেছেন নন-প্রমোটেড, তাদের সর্বোচ্চ তিন বিষয় পর্যন্ত মানোন্নয়ন পরীক্ষার মাধ্যমে পরবর্তী বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষায় সুযোগ দিতে হবে।

৩. সব বিষয়ে পাস করার পরেও একজন শিক্ষার্থী সিজিপিএ সিস্টেমের জন্য নন-প্রোমোটেড হচ্ছেন। এজন্য সিজিপিএ শর্ত শিথিল করতে হবে।

৪. বিলম্বে ফল ঘোষণা করা চলবে না। সর্বোচ্চ তিন মাস (৯০ দিনের মধ্যে) ফল প্রকাশ করতে হবে।

৫. সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে অভিভাবক কে বা কারা?  কোথায় তাদের সমস্যা উপস্থাপন করবে? তা ঠিক করে দিতে হবে।

৬. অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রণয়ন ও তা যথাযথ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে।

৭. শিক্ষক ও ক্লাসরুম সংকট নিরসনে শিগগিরই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

 

আন্দোলনকারী তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী তছলিম চৌধুরী জানান, গত ২১ তারিখ রবিবার আমরা সাত কলেজের সমন্বয়ক সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যের সই করা সাত কলেজের কিছু দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার ভবনে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক  বাহালুল হক স্যারের সঙ্গে দেখা করতে যাই। কিন্তু তিনি আমাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান। আমাদের কল ও রেসপন্স করেননি, আমাদের দাবিগুলো দেখেননি। এরপর আমাদের এই রুম থেকে ওই রুমে পর্যায়ক্রমে পাঠিয়ে হয়রানি করেন দায়িত্বরত কর্মকর্তারা। এছাড়া আমাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছেন। এরই প্রতিবাদে আজ সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছি।

 

আন্দোলনকারী আরেক শিক্ষার্থী রাইসা লাবণী বলেন, রেজিস্ট্রার ভবনের কর্মকর্তারা আমাদের মানুষই মনে করেন না। যাচ্ছেতাই আচরণ করেন। আমার মাথায় ধরে না এরা কীভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। আমাদের প্রত্যেকটা দাবি যৌক্তিক, অথচ তারা আমাদের কোনও গুরুত্ব দেননি। পরীক্ষার ৮ মাস শেষ হয়ে গেছে, অনেক ডিপার্টমেন্টের এখনও রেজাল্ট দেয়নি। অনেক শিক্ষার্থী সব বিষয়ে পাস করার পরেও ঢাবির শর্তের বেড়াজালে প্রমোটেড হননি। ভর্তির পর থেকেই আমাদের শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক সংকটের কারণে ঠিকমতো ক্লাস হয়নি। এই মানববন্ধন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমরা ঢাবি কতৃপক্ষকে কঠোরভাবে বার্তা দিতে চাই, সাত কলেজ নিয়ে তামাশা করা বন্ধ করতে হবে।

 

 একুশে সংবাদ.কম/বিএস

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর