তবে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হয়েছেন রাবির কয়েকজন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিনজনের চোখে ও তিনজনের পুরো শরীরে গুলির ক্ষত চিহ্ন আছে।
শনিবার (১১ মার্চ) রাতে রামেক হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) মুকুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে রাবি শিক্ষার্থী মো. রাকিব আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
রামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, রাবিতে সংঘর্ষের ঘটনায় মোট ৮৪ জন ভর্তি আছেন। তাদের অধিকাংশ রাবি শিক্ষার্থী। এর পাশাপাশি পুলিশ ও অন্য সাধারণ জনগণও আছে। তাদের বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসা চলছে।
তিনি বলেন, রাবির সাত শিক্ষার্থীর অবস্থা কিছুটা গুরুতর। তাদের শরীরে বুলেটের চিহ্ন আছে। বিশেষ করে তিন শিক্ষার্থীর চোখে বুলেট লেগেছে। এক শিক্ষার্থীর মাথায় বুলেট লেগেছে তাকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছে। অন্যদের স্বাভাবিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে সকালে চিকিৎসক এসে কারও উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন কী না সেটি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবেন।
রাবির ছাত্র উপদেষ্টা তারেক নূর বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি আমাদের ছাত্রদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে। আমাদের সব ছাত্ররা যেন চিকিৎসা পায় সেটি দেখভাল করছি। ছাত্রদের সবার অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে।’
এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বিনোদপুর বাজার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অন্তত ২৫-৩০টি দোকানে অগ্নিসংযোগ করেন। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীরা আহত হয়েছেন।
একুশে সংবাদ/এসএপি