সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

হরিরামপুরে চেয়ারম্যান পদে কোন প্রার্থীর কত সম্পদ

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০২:২৬ পিএম, ১ মে, ২০২৪

হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মোট ৫ জন প্রার্থী। এদের মধ্যে ৪ জন আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী৷ একজন উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক। দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।

৫ প্রার্থীর মধ্যে বেশি সম্পদের মালিক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন। বিএনপিপন্থী প্রার্থী জাহিদুর রহমানের নামে রয়েছে ৪টি মামলা। বর্তমান চেয়ারম্যান দেওয়ান সাইদুর রহমান ও সামছুল ইসলাম বিপুলের কোনো যানবাহন নেই। মনোনয়নপত্রের সাথে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থীদের জমা দেয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

হলফনামা বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমানের (মোটরসাইকেল প্রতীক) পেশা কৃষি উল্লেখ রয়েছে। তবে, তার বা তার পরিবারের কোনো আয়ের উৎস বা আয়ের উল্লেখ নেই। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক। তার নগদ টাকা রয়েছে ৫ লাখ টাকা। এছাড়া নিজ নামে ব্যাংকে ৫ লাখ টাকা, ২০ হাজার টাকার প্রাইজবন্ড এবং স্ত্রীর নামে ২৫ তোলা স্বর্ণ, দেড় লাখ টাকা মূল্যের ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী এবং দেড় লাখ টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে। যৌথ মালিকানায় ৩৯ শতাংশ জমি থাকলেও হলফনামায় কোনো যানবাহনের তথ্য উল্লেখ নেই। তবে, তার নামে একটি মামলা রয়েছে৷

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মো. সাদ্দাম হোসেন (দোয়াত কলম প্রতীক) প্রথমবারের মতো নির্বাচনে এসে আলোচনায় রয়েছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক করেছেন। হলফনামা অনুযায়ী, তার পেশা ব্যবসা এবং ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ২২ লাখ ৬০ হাজার ৫৫৬ টাকা। এছাড়া তার রয়েছে নগদ এক লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ৩২ লাখ ৮৯ হাজার ২৫৬ টাকা, বন্ড, ঋণপত্র ও শেয়ার ২ লাখ ৫০ হাজার ৫০০ টাকা, এক লাখ ৯৬ হাজার টাকার একটি মোটরসাইকেল, বিয়ে না করলেও উপহার হিসেবে পাওয়া ৩০ ভরি স্বর্ণ এবং আসবাবপত্র থাকলেও কোনো স্থাবর সম্পদ নেই তার।

উপজেলা যুবদলের বহিষ্কৃত যুগ্ম আহ্বায়ক ও বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক ৩ বারের চেয়ারম্যান জাহিদুর রহমান তুষারের (কাপ-পিরিচ প্রতীক) নামে ৪টি মামলা রয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা উচ্চ মাধ্যমিক, পেশা ঠিকাদার ও সরবরাহকারী ব্যবসা। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা। এছাড়া, নগদ এক লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ২২ ভরি স্বর্ণ, ৬০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি এবং ৫০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে৷ স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে ৬৬ শতাংশ কৃষি জমি, ৫.৮ শতাংশ অকৃষি জমি, পৈতৃক বসতবাড়ি ও ঘর।

এ লেভেল পাস সামছুল ইসলাম বিপুলের (ঘোড়া প্রতীক) পেশা কৃষিপণ্য গুদামজাত ব্যবসা। ব্যবসা থেকে তার বার্ষিক আয় ৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। কৃষিখাত থেকে বার্ষিক ১৮ হাজার টাকা আয় রয়েছে তার। এছাড়া, নগদ এক লাখ টাকা, ব্যাংকে এক লাখ টাকা, স্ত্রীর নামে ৩ ভরি স্বর্ণ, ২০ হাজার টাকা মূল্যের একটি মোবাইল, ৮০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি এবং ৯০ হাজার টাকা মূল্যের আসবাবপত্র রয়েছে৷ স্থাবর সম্পদের মধ্যে ওয়ারিশসূত্রে পাওয়া ১০১.৭২ শতাংশ জমি এবং পৈতৃকসূত্রে পাওয়া একটি দালান রয়েছে৷

মো. আজিম খানের (আনারস প্রতীক) শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক। হলফনামায় তার পেশা ব্যবসা উল্লেখ থাকলেও ব্যবসা থেকে তার আয় উল্লেখ নেই। তিনি বর্তমান ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে বছরে ৩ লাখ ২৪ হাজার টাকা সম্মানী পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। এছাড়া তার নগদ ২০ হাজার টাকা, ব্যাংকে জমা ৮ লাখ ৩০ হাজার টাকা, একটি মোটরসাইকেল, স্ত্রীর উপহার পাওয়া ১৫ ভরি স্বর্ণ, ৭০ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রি এবং ৪০ হাজার টাকার আসবাবপত্র রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ২ শতাংশ জমি, পৈতৃক বাড়ি ও একটি দালান রয়েছে।

উল্লেখ্য, প্রথম ধাপের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, হরিরামপুর উপজেলায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে।

 

একুশে সংবাদ/বিএইচ

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর