সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

বশেমুরবিপ্রবির কর্মচারী সমিতির ধর্মঘট

একুশে সংবাদ প্রকাশিত: ০১:২২ পিএম, ৬ এপ্রিল, ২০২২
ছবি: একুশে সংবাদ

গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) বাস ড্রাইভারদের সাথে ঘটে যাওয়া অপরাধের বিচার ও শাস্তির দাবিতে দু'দিন ধরে সকল পরিবহন, লাইব্রেরিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধ করে রেখেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি।

এর আগে, গত রবিবার (৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয় বাস ড্রাইভার এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে দুই দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে এক শিক্ষার্থী এবং দুই বাস ড্রাইভার আহত হয়।

এদিকে খোজ নিয়ে জানা গেছে,দুদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও বাস ও লাইব্রেরি বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থীরা। দূরের শিক্ষার্থীরা ক্লাসে আসতে পারছে না, সঠিক সময়ে পরীক্ষা দিতে পারছে না। শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরিতে গিয়ে পড়াশোনা করতে পারছে না।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী 'সাইমুন হাসান রাব্বি'  অভিযোগ জানিয়ে বলেন, রোযার মাসে এরকম ভোগান্তি অনাকাঙ্ক্ষিত। বিষয়টা দ্রুত সমাধান হোক, আমরা এই ভোগান্তি থেকে মুক্তি চাই।’


এ বিষয়ে কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন,‘ সুষ্ঠু বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আমাদের একজন সহকর্মী গুরুতর অবস্থাতে হাসপাতালে ভর্তি। তাকে প্রায় ৪০-৫০ জন অজ্ঞাতনামা মিলে পিটিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিয়ম আছে সেই অনুযায়ী দোষীদের বিচার হবে বলে উপাচার্য স্যার আমাদের জানিয়েছেন।


এদিকে পরিবহন প্রশাসক তাপস বালার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,সকাল থেকে উপাচার্য স্যারের সাথে এ বিষয়ে মিটিং হলেও এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্তে আসেনি।এসময় শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীকাল এর মধ্যে কোনো সমাধান না হলে যানবাহন সচল রাখাতে আমরা বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

উল্লেখ্য, এ ঘটনায় গত ৩ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মোরাদ হোসেন জানান, শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বাসচালক রবিউল ইসলাম ও আতিকুর রহমান ঝন্টুকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


একুশে সংবাদ/মোস্তাফিজুর রহমান/এইচ আই
 

ক্যাম্পাস বিভাগের আরো খবর